ধর্ম ডেস্ক: জীবন-মৃত্যু নির্ধারিত। কিন্তু হাদিসে এমন তিনটি আমলের কথা বলা হয়েছে, যে কাজগুলো করলে আল্লাহ তাআলা হায়াত বাড়িয়ে দেন। এই হায়াতবৃদ্ধি আক্ষরিক অর্থেও হতে পারে। যেমন- আল্লাহ হায়াতে বরকত দান করেন। যার কারণে অল্প সময়ে বেশি নেক আমল করা সম্ভব হয়। নিচে হায়াতবৃদ্ধির তিনটি আমল উল্লেখ করা হলো।
১) আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কামনা করে তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে। (বুখারি: ৫৯৮৫; মুসলিম: ৪৬৩৯)
কুশলাদি জিজ্ঞেস করা, আন্তরিক হওয়া ও দয়া-মায়া দেখানোই হলো সুসম্পর্ক। এই সুসম্পর্ক প্রকৃতপক্ষে কারা রক্ষা করে—তাদের সম্পর্কে প্রিয়নবী (স.) ইরশাদ করেন, ‘সে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী নয়, যে সম্পর্ক রক্ষার বিনিময়ে সম্পর্ক রক্ষা করে। বরং প্রকৃত সম্পর্ক রক্ষাকারী সে-ই, যার সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরলে সে তা জোড়া দেয়।’ (বুখারি: ৫৯৯১)
২) মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা
সালমান ফারসি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘দোয়া ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো কিছু হায়াত বাড়াতে পারে না।’ (তিরমিজি: ২১৩৯)
আরও পড়ুন: মা বাবার হক আদায় হয়—এমন দোয়া আছে কি?
৩) প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর আচরণ করা
ইসলামে প্রতিবেশীর দায়িত্ব অনেক বেশি। যে ব্যক্তি প্রতিবেশীর হক আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার হায়াতে বরকত দান করবেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (স.) বলেছেন, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা, চরিত্র সুন্দর করা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার রাখায় দেশ আবাদ থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়। (মুসনাদে আহমদ: ২৫২৫৯)
এই আলোচনা থেকে বোঝা যায়, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর আচরণে নেক হায়াত বৃদ্ধি পায়। আবার সামাজিক শান্তির ক্ষেত্রেও এই তিনটি বিষয় দারুণ প্রভাব রাখে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এসব গুণে গুণান্বিত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।