ঢাকা : স্যাংশন নয় প্রধানমন্ত্রীর মাথা ব্যথা নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, স্যাংশনের বিষয়ে তার কোনো মাথা ব্যথা নাই। উনার (প্রধানমন্ত্রীর) মাথাব্যথা শুধু নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচনের কথা বললে ওনার মাথা ব্যাথা বেড়ে যায়, অসুস্থ হয়ে পড়েন। আপনি প্রধানমন্ত্রী, এই দেশটাকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেন তাহলে আপনার ছেলেকে দেশে রাখেন না কেন? আপনার ছেলে মেয়ে বিদেশে থাকে কেন? অনেক দেশই আপনার বন্ধু, সে সব দেশে আপনার ছেলেকে না রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাখলেন কেন?
রবিবার (৪ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মূত্যবার্ষিকী উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমাদের চলাচল, আমাদের কথা বলা, কোনটারই স্বাধীনতা নেই। এক দানবীয় শক্তি, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনকে অদৃশ্য করে দিয়েছে। এদেরকে পরাজিত করতে হবে।
রাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, তিনি শেখ হাসিনা জনগণকে শত্রু মনে করে বলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন দেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে দেন না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে। আর জনগণ তাকে ভোট দেবে না এটা তিনি জানেন বলেই তিনি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসতে দেন না।
তিনি বলেন, দেশে যে দুঃশাসন চলছে আর এই দুঃশাসন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কথাবার্তা বলছে, এটা শেখ হাসিনা তোয়াক্কা করেন না। এটা যদি তিনি তোয়াক্কা করতেন তাহলে দেশে সুশাসন দিতে হতো। সুষ্ঠু ভোট দিতে হতো। গুম খুনের কাজের সাথে নিজেকে জড়াতে পারতেন না। চৌধুরী আলমসহ বিএনপির অসংখ্য নেতা কর্মীদেরকে গুম খুন করেছে এই কারণে যে, তার অবৈধ শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে।
রিজভী বলেন, অবৈধ সরকার অবৈধ বাজেট দিয়েছে। সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে শিশুসহ ভিক্ষুক, রিক্সাওয়ালাদের রক্ত চুষে নিতে বাজেটে কর ধার্য্য করা হয়েছে। কারন চিকিৎসাসহ সরকারী সেবা নিতেই টিন লাগবে। ভিক্ষুক হলেও তাকে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতী দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, ওলামা দলের নেতা শাহ মো. মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।