আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবে ৩৫ বছর চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৮ সালে চলচ্চিত্রের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সেখানে সিনেমা হল চালু করে দেশটির সরকার। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন পথে হাঁটতে শুরু করে। এবার এই শিল্পের প্রসারে আরও একটি পদক্ষেপ নিল সৌদি সরকার। সিনেমা নির্মাণ করলে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ দেশটির সরকার দেবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে এমনই ঘোষণা দিয়েছে সৌদি ফিল্ম কমিশন।
কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, সৌদি আরবের সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সেখানকার মানুষের গল্প উঠে আসলে সেসব সিনেমা নির্মাণের পেছনে ব্যয় করা অর্থের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ফেরত পাবেন প্রযোজকরা।
কমিশন বলছে, গত ১৮ মাসে তিনটি হলিউড সিনেমা, আটটি স্থানীয় সংস্কৃতির সিনেমা এবং বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। তরুণ পরিচালক ও প্রযোজকদের নিয়ে সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্প মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য এটি লাভজনক ক্ষেত্র হিসেবে সুযোগ তৈরি করছে।
আবেদনের জন্য একটি ডেডিকেটেড অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এরই মধ্যে চালু করা হয়েছে। সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে সেখানে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।
সৌদি ফিল্ম কমিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইয়াফ বলেছেন, ‘সৌদি আরবের চলচ্চিত্র শিল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আমরা স্থানীয় কলাকুশলীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমরা বিনিয়োগ করছি। এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমরা সব ধরনের সিনেমাকে সমর্থন দেব।’
এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে সৌদি আরব জেদ্দায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ‘রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজন করে। জর্ডান, সৌদি আরব, লেবানন, তিউনিশিয়া, মিসরসহ ৬৭ দেশের ৩০টিরও বেশি ভাষার ১৩৮টি পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় ওই উৎসবে।
শুধু তাই নয়, ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে ৩৫০টি সিনেমা হল এবং দুই হাজার ৫০০ মুভি স্ক্রিন তৈরির লক্ষ্য স্থির করেছে দেশটি।