শিরোনাম :
কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে যাত্রীবাহী ট্যাক্সি, নিহত ১০ একটা পণ্য বর্জন করলেই জাতি মুক্ত হ‌বে: গয়েশ্বর শিক্ষক বলেছিলেন ‘ইউ আর নট ফিট ফর ঢাবি’, সেই অথৈ সি ইউনিটে প্রথম মেট্রোরেলের ওপর দিয়ে যাওয়া ইন্টারনেট-ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ ‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ’ কারাবন্দী বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা! ‘মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’ টানা তিন দিন বিছানায়, ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে মাঠে নেমেই ম্যাচসেরা সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৮ মস্কো হামলার ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ১৪৩ বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের ৯ মাসেই ১০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক অকালমৃত্যুর ৫৩ শতাংশই দূষণে ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য ফাঁস

শুক্রবার থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ, সহায়তা নিয়ে ক্ষুব্ধ জেলেরা

  • বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

মোংলা: বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় শুক্রবার (২০ মে) থেকে ৬৫ দিনের জন্য সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এরই মধ্যে সরকারিভাবে প্রচার ও সভা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে মৎস্য বিভাগসহ স্থানীয় প্রশাসন। তবে একই সময় ভারতের জলসীমানায় মাছ ধরা বন্ধ না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে বাংলাদেশি জেলেদের মধ্যে।

তাদের অভিযোগ এ সুযোগে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এদিকে জেলেদের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা হিসেবে মোংলা উপজেলায় ৬ হাজার ৬৫০ জেলের মধ্যে ১ হাজার ১৫০ এবং শরণখোলা উপজেলার ৪ হাজার সমুদ্রগামী জেলেদের মধ্যে মাত্র ৩৭৪ জনের চাল বরাদ্দ এসেছে। এমন অবস্থা বাগেরহাটের সব উপজেলায়। এনিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।

বুধবার (১৭ মে) শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় জেলেদের চাহিদার তুলনায় এত কম বরাদ্দ আসায় নিতে অনিহা প্রকাশ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।

শরণখোলার সাউথখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে জেলে রয়েছেন ১ হাজার ৪৪০ জন অথচ বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ১১০ জনের। এখন এ চাল আমি কীভাবে বিতরণ করব। একই অবস্থা রায়েন্দা ইনিয়নে ১ হাজার ২০০ জেলের মধ্যে চাল এসেছে ১১০ জনের, খোন্তাকাটায় ৯০০ জেলের মধ্যে ১০৪ জন এবং ধানসাগরে ৫৮০ জনের মধ্যে মাত্র ৫০ জন জেলের চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এনিয়ে তারা এখন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বলেও তারা জানান।

শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, শরণখোলায় মোট জেলের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৪৪ জন। এরমধ্যে সমুদ্রগামী জেলে হচ্ছে ৪ হাজার। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের জন্য প্রতি জেলে ৮৬ কেজি করে চাল পাবেন। এদিকে মাত্র ৩৭৪ জন জেলের চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এখানে আমার কিছু করার নেই।

মোংলা উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এ জেড তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মোংলায় ৬ হাজার ৬৫০ জেলের মধ্যে চাল বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার ১৫০ জেলের। তবে তিন কিস্তিতে বাকি চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ মাছ ধরার ট্রলার মালিক সমিতির সহসভাপতি এম সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, বঙ্গোপসাগরে আমাদের নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জনসীমানায় প্রবেশ করে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যায়। পরে আমাদের জেলেরা আর মাছ পায় না। যে কারণে গত বছর আমার ৫০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। আমার মতো এ মৎস্য সম্পদের নির্ভরশীল বহু ব্যবসায়ী লোকসানে পরে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাই ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ ও ভারতের একই সময় দেওয়ার দাবি তার।

শরণখোলা উপজেলা মাছ ধরার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের জেলেরা না খেয়ে থাকে আর ভরতীয় জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমরা তা দেখলেও কিছু করার নেই।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ খুবই কম পাওয়া গেছে। তবে সব জেলেরা যাতে পায় সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র দেওয়া হবে।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved