ঢাকা: শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম হয়ে বাংলাদেশে আনা বিলাসবহুল একটি রোলস রয়েস গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
গত ৪ জুলাই বারিধারা এলাকা থেকে ২৭ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়িটি জব্দ করে গোয়েন্দারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন খান।
শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ২৭ এপ্রিল বিদেশ থেকে গাড়িটি আনা হয় চট্টগ্রামে। এরপর কোনো শুল্ক না দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর ১৭ মে সেটি গোপনে ঢাকায় আনা হয়। বিষয়টি জানার পর গাড়িটির খোঁজে নামে গোয়েন্দারা। এক পর্যায়ে বারিধারের একটি বাসায় বিলাসবহুল গাড়িটির সন্ধান মেলে।
যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়িটির কর দাঁড়ায় ২৪ কোটি টাকা। কারণ হিসেবে জানা যায়, গাড়িটির সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি ৬ হাজার ৭৫০। এ ধরনের গাড়িতে শুল্ককর দিতে হয় শুল্কায়িত মূল্যের আট গুণ। আমদানিকারক যে বিধিতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িটি আমদানি করেছেন, তাতে দুই হাজার সিলিন্ডার ক্যাপাসিটির গাড়িতে এই সুবিধা পাওয়ার কথা। কিন্তু সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি বেশি থাকায় গাড়িটির কর দাঁড়ায় ২৪ কোটি টাকা।
জানা যায়, গত এপ্রিলে গাড়িটি আমদানির পর চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ (ইপিজেড) এলাকায় নেওয়া হয়। এরপর শুল্কায়নের জন্য কাগজপত্র দাখিল করা হয় কাস্টম হাউসে। তবে শুল্কায়নের আগেই গত ১৭ মে গাড়িটির প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ঢাকার বারিধারায় বাসায় সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর প্রথমে চট্টগ্রাম ইপিজেডে অভিযান চালায়। এরপর নিশ্চিত হয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন খানের নেতৃত্বে বারিধারায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাসার গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৪ জুলাই গাড়িটি জব্দ করেন তারা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্ম পরিচালক শামসুল আরেফিন খান জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গাড়িটি আনার জন্য মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এলসি খোলা হয় এবং সেটি খালাসের দায়িত্ব ছিল এম আই ট্রেড এসোসিয়েটস। গাড়িতে আনার ৭০ দিনেরও কেন শুল্ক পরিশোধ না করে বের করে দেওয়া হয়েছে তার তদন্ত চলছে।