ঢাকা: নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (একাংশ কাজী জাফর) সঙ্গে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বিএনপি।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্য়ালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দিতীয় দফায় সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি।
ফখরুল বলেন, এই অবৈধ অনির্বাচিত সরকারের অপসারণ এর জন্য আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে যে যুগপৎ আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। এখন দ্বিতীয় দফায় আমরা কথা বলছি যুগপৎ আন্দোলনের দফাগুলোকে নির্দিষ্ট করার বিষয়। গতকাল আমরা কল্যাণ পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছি, আজ মোস্তফা হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, আলোচনা মূল বিষয়গুলো ছিল যুগপৎ আন্দোলনের দাবি নির্ধারণ করা। যে দাবিগুলো কমন সেগুলো আপনাদেরকে বলছি- গণতন্ত্রের আকর্ষণ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। রাজনৈতিক কারণে যে সকল নেতারা বন্দি রয়েছেন তাদের মুক্তি এবং একই কারণে ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার। এই সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ বাতিল করা। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
‘এছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছি তাতে আমরা একমত হয়েছি। এই দফাগুলো নিয়ে দাবিগুলো নিয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা অবশ্যই একটি যুগপৎ আন্দোলন শুরু করব।’
সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীমসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।