শিরোনাম :
গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো: ফখরুল একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন একদিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ ত্রিশালে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত গাজার বর্বরতাকে ইসরায়েলি ‘গণহত্যা’ বলায় জাতিসংঘের দূতকে হুমকি শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি যুক্তরাজ্যে ৮০ লাখ মানুষের চাকরি হারানোর শঙ্কা টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ যুক্তরাষ্ট্রে সেতু দুর্ঘটনা : দুই মরদেহ উদ্ধার অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে ঢাকা আজ তৃতীয় অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিজের ডেকে আনা পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি তরুণের গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: ম্যাথিউ মিলার লিবিয়ায় বাংলাদেশী চার যুবককে অপহরণ, ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ

বাংলাদেশি ভিসায় যেসব বিধি-নিষেধ আরোপের কথা ভাবছে ইইউ

  • শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপে আশ্রয়ের অধিকার নেই এমন লোকজনকে আরও বেশি সংখ্যায় নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উপায় এবং এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা না করা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করার কথা ভাবছে ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন)। এসব বিধি-নিষেধের বিষয়ে আলোচনা করতে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রীরা। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের নেতাদের বৈঠকের দুই সপ্তাহ আগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বৈঠকে অভিবাসন এবং আরও অধিকসংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হবে।

যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়, সেসব দেশের জন্য ভিসা সীমিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে তিন বছর আগে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল ২৭ জাতিরাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই সিদ্ধান্তের পর এ পর্যন্ত কেবল আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে শাস্তি দেওয়া হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন ইরাক, সেনেগাল ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও গাম্বিয়ার মতো একই ধরনের শাস্তির প্রস্তাব করেছে। যদিও ইইউর দুজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢাকার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে।’

ইইউর পরিসংখ্যান বিষয়ক উইং ইউরো স্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে অবৈধ আশ্রয়প্রার্থী ফেরতের হার মোটা দাগে ২১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর এই হারকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো অগ্রহণযোগ্য কম বলে মনে করে।

ইউরোপের দেশগুলোর এই জোটের রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয় অভিবাসন। বৃস্পতিবারের বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তত্ত্বাবধানের কাজ কীভাবে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায় তা নিয়ে তাদের তিক্ত দ্বন্দ্ব পুনরুজ্জীবিত করার চেয়ে বরং প্রত্যাবর্তন (ফেরত পাঠানো) বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রথমেই অনিয়মিত অভিবাসন হ্রাস করার বিষয়ে আলোচনা করবে।

মন্ত্রীদের আলোচনার বিষয়ে একটি নথি তৈরি করেছে ইউরোপীয় কমিশন, যা দেখেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউরোপীয় কমিশনের ওই নথিতে বলা হয়েছে, অবৈধ আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠাতে কার্যকর এবং সাধারণ একটি ব্যবস্থাপনা দাঁড় করানোই হবে আস্থাযোগ্য অভিবাসন ও আশ্রয় ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় স্তম্ভ।

নেতাদের যৌথ বিবৃতির খসড়ায় বলা হয়েছে, ইইউর সমস্ত প্রাসঙ্গিক নীতিমালা মেনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ নিজ দেশে কার্যকর প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, আশ্রয়প্রার্থীদের নিজ দেশের অপর্যাপ্ত সহযোগিতা এক্ষেত্রে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ। তাদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা, ভ্রমণের নথিও সমস্যা তৈরি করছে।

অতীতে ভিসা বিধি-নিষেধের মাধ্যমে কিছু তৃতীয় দেশকে শাস্তি প্রদানের বিষয়ে অভিবাসন প্রধানদের চাপ থাকলেও ইইউর পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন মন্ত্রীরা এর বিরোধিতা করেছেন। অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশের পরস্পরবিরোধী অ্যাজেন্ডার কারণে সেটি ব্যর্থ হয়। যে কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একমাত্র গাম্বিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি কোনো দেশের বিরুদ্ধে ভিসা বিধি-নিষেধ আরোপ করে, তাহলে সেই দেশের নাগরিকরা ওই ব্লকে প্রবেশের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পান না, এমনকি ভিসা পাওয়ার জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতেও হতে পারে।

সূত্র : রয়টার্স

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved