নেত্রকোনা: হঠাৎ পাহাড়ি ঢল ও একটানা অতিবৃষ্টির কারণে নেত্রকোনার গোমাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে ফসলি জমিতে পানি ঢুকছে। জেলার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের পাঠানপাড়া জাইকার ফসলরক্ষা বাধঁ ভেঙ্গে মান্দারউড়া বিল,দশধার, দলপুর, নিছিনপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বিলে পানি প্রবেশ করছে। এতে করে ওই এলাকার পাকা বোরো ধান তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এসব হাওরের ১৫-২০ শতাংশ ধান এখনো কাটা হয়নি। ফলে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে শ্রমিকের মাধ্যমে হাওরের পাঁকা ধান কাটার চেষ্টা করছে কৃষকরা।
কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসব হাওরের ৮০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। হাওরের পানি আসাতে ধান খেতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ধান কাটতে কৃষকদের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত এসব ধান কাটার পরামর্শ ও দিয়েছেন তারা।
দশধার গ্ৰামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, পানিতে বোর ধান তলিয়ে গেছে। এখনো অনেক ধানের খেত কাটার বাকি আছে। যদি পাকা করে স্থায়ী ফসলরক্ষা বাঁধ দেওয়া হয় তাহলেই সম্ভব ফসল রক্ষা করা। আর কোনো বিকল্প নেই।
কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহম্মদ বলেন, উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের পাঠানপাড়া জাইকার ফসলরক্ষা বাধঁ ভেঙে যেখানে পানি ঢুকছে সেখানে ৪ শত ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে চারশত হেক্টর জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষকরা।
তবে হঠাৎ করে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। ফসলি জমিতে পানি থাকায় হারভেষ্টার দিয়ে ধান কাটা যাচ্ছে না এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় বেশি মূল্যে কৃষি শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম শেখ জানান, বাঁধটি আমাদের নাকি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তা দেখতে হবে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
স্থানীয় কৃষকদের দাবি, এ অঞ্চলের কৃষকদের ফসলরক্ষায় বাঁধটিকে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হউক।