শিরোনাম :
কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে যাত্রীবাহী ট্যাক্সি, নিহত ১০ একটা পণ্য বর্জন করলেই জাতি মুক্ত হ‌বে: গয়েশ্বর শিক্ষক বলেছিলেন ‘ইউ আর নট ফিট ফর ঢাবি’, সেই অথৈ সি ইউনিটে প্রথম মেট্রোরেলের ওপর দিয়ে যাওয়া ইন্টারনেট-ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ ‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ’ কারাবন্দী বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা! ‘মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’ টানা তিন দিন বিছানায়, ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে মাঠে নেমেই ম্যাচসেরা সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৮ মস্কো হামলার ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ১৪৩ বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের ৯ মাসেই ১০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক অকালমৃত্যুর ৫৩ শতাংশই দূষণে ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য ফাঁস

‘ক্যাসিনো সাঈদের’ ফিরে আসা কী বার্তা দিল

  • শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ঢাকা: পুরো নাম এ কে এম মমিনুল হক। এই নামে তাঁকে যতজন চিনবেন, তার চেয়ে অনেক বেশি চিনবেন ’ক্যাসিনো সাঈদ’ বললে। নামেই পরিচয় কথাটা এর চেয়ে যথার্থ আর হতে পারে না। মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় রীতিমতো ক্যাসিনো বসিয়ে জুয়ার যে মহোৎসব চলছিল, তার মূল হোতাদের একজন এই মমিনুল হক। ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ নামের উৎপত্তিও সেখান থেকেই।

প্রায় সাড়ে তিন বছর আত্মগোপনে থাকার পর সেই ‘ক্যাসিনো সাঈদ’–এর পুনরাবির্ভাব ঘটেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। সেটিও মহাসমারোহে। আবারও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে বরণ করে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। সেটিও গত মঙ্গলবার ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনীর প্রধানের উপস্থিতিতে হকি ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়। সভা শেষে ফেডারেশন সভাপতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কমিটির সবাই মমিনুল হকের সাধারণ সম্পাদক পদে ফেরার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই ফেরাটাকে ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়া’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ‘ক্যাসিনো সাঈদ’

স্বাভাবিক প্রক্রিয়া! কীভাবে? এটা সত্যি, মমিনুল হক হকি ফেডারেশনের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। ফেডারেশনের যে নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ আছে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত। সেই হিসাবে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের তাঁর পদে ফেরাটাকে কেউ ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়া’ বলতেই পারেন। কিন্তু মাঝখানে ‘অস্বাভাবিক’ সব কাণ্ডকীর্তির সঙ্গে মমিনুল হকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তা আর স্বাভাবিক থাকছে কই! ২০১৯ সালের এপ্রিলে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মমিনুল। ক্যাসিনো–কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম আসার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। আগস্টে তাঁকে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর মমিনুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। যে মামলাগুলো এখন বিচার পর্যায়ে আছে।

এমন একজনকে আবারও হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরিয়ে আনাটা কীভাবে ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়া’ হয়? এর চেয়েও বড় প্রশ্ন, মমিনুলকে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে কী বার্তা দেওয়া হলো? যে কারণে মমিনুল হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল, সেই কারণটা কি এখন উধাও হয়ে গেছে? মমিনুল হকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, সেসব তো আর মিথ্যা হয়ে যায়নি। মাঝের সময়টায় তিনি নিরপরাধ বলেও প্রমাণিত হননি।

তাহলে? ঘটনাটা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে এটা শুধু আইনি ব্যাপারেই সীমাবদ্ধ থাকে না, চলে আসে নীতি–নৈতিকতার প্রশ্নও। যে নীতি–নৈতিকতাই খেলাধুলার মূল চেতনা। মমিনুলের পুনর্বাসনের পর সেটির মূল্য থাকল কোথায়? হকি ফেডারেশনের সভায় এই প্রশ্নটা কেউই তুলেছেন বলে শোনা যায়নি। বরং আশ্চর্য হলেও সত্যি, অনেকেই মমিনুলের পক্ষে সাফাই গাইছেন।উৎপল শুভ্র

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved