শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এ যুদ্ধেকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত বিশ্ববাসী। কী হবে এ যুদ্ধে? – তবে প্রশ্ন ওঠে যে পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক অস্ত্র কী? তাহলে প্রথমেই যে অস্ত্রের নাম সবার মাথায় আসবে সেটা হলো পারমাণবিক বোমা।
বর্তমানে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে ১৬,৩০০ পারমাণবিক বোমা আছে। তবে এসব বোমার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কোন দেশের কাছে কতগুলো পারমাণবিক বোমা আছে তা জেনে নেওয়া যাক।
১. রাশিয়ার
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউট সিপ্রি-র তথ্য অনুসারে রাশিয়ার কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আনবিক বোমা রয়েছে। দেশটিতে এ ধরনের বোমার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের বেশি৷ ১৯৪৯ সালে সেদেশ প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল।
২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে এবং একমাত্র দেশ যারা এটা যুদ্ধে ব্যবহারও করেছে। দেশটির এখন সাত হাজারের বেশি পারমাণবিক বোমা রয়েছে।
৩. ফ্রান্স
পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে তিনশ’র মতো। এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে সাবমেরিনে। দেশটির অন্তত একটি সাবমেরিন সবসময় পারমাণবিক বোমা নিয়ে টহল দেয়।
৪. চীন
আড়াইশ’র মতো পারমাণবিক বোমা আছে চীনের। রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও দেশটি ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়াচ্ছে। স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে এসব বোমা ছোঁড়া সম্ভব।
৫. যুক্তরাজ্য
দুইশ’র বেশি পারমাণবিক বোমা রয়েছে যুক্তরাজ্যের কাছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই দেশটি ১৯৫২ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়।
৬. পাকিস্তান
ইতোমধ্যে তিনবার প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান দেশটির আছে শতাধিক আণবিক বোমা। সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি। অনেকে আশঙ্কা করেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে দেশটির লড়াই কোন এক সময় পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
৭. ভারত
প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ১৯৭৪ সালে। দেশটির কাছে নব্বইটির বেশি আণবিক বোমা রয়েছে। ভারত অবশ্য জানিয়েছে, তারা আগে কোনো দেশকে আঘাত করবে না, আর যেসব দেশের পারমাণবিক বোমা নেই, সেসব দেশের বিরুদ্ধে তারা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করবে না কোনোদিন।
৮. ইসরায়েল
ইসরায়েল অবশ্য নিজের দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেমন কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করে না। দেশটির আশিটির মতো পারমাণবিক ‘ওয়ারহেড’ আছে বলে ধারণা করা হয়।
৯. উত্তর কোরিয়া
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার কাছে দশটির কম পারমাণবিক বোমা রয়েছে। তবে দেশটির নিজেদের এ ধরনের বোমা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়।