শিরোনাম :
মেহেদির রং শুকানোর আগে প্রাণ গেল তরুণের ঘরের কাজে ব্যস্ত মা, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্যের ডাক বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থনকারী দেশের পণ্য বর্জন ন্যায় সঙ্গত: রিজভী চার বছরে মাধ্যমিকে ১০ লাখ শিক্ষার্থী কমেছে ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার আরও কমলো রিজার্ভ ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ৮.৮৯ শতাংশ গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো: ফখরুল একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন একদিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ ত্রিশালে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত গাজার বর্বরতাকে ইসরায়েলি ‘গণহত্যা’ বলায় জাতিসংঘের দূতকে হুমকি শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি

আল্লাহর নাম নিলে সাহস ফিরে পাই: মুসকান

  • শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত মঙ্গলবার মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজের একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, হিজাব-বোরকা পরিহিত এক কলেজ ছাত্রীর দিকে তেড়ে যাচ্ছে গেরুয়া উত্তরীয় পরিহিত একদল যুবক, সঙ্গে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি।

সেখানে বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেখা গিয়েছিল একা এক ছাত্রীকে। তার পর থেকেই খবরের শীর্ষে কর্নাটকের কলেজ পড়ুয়া মুসকান খান।

এক সাক্ষাতকারে মুসকান বললেন, ‘‘সে দিন ওই ভিড়ের দিকে তাকিয়ে আমি ভিতরে ভিতরে ভয় পেয়েছিলাম। আমি ভয় পেলে আল্লার নাম নিই।’’‘‘আমি কিন্তু কাঁদিনি।’’

মুসকান আরো বলছেন, ‘‘সে দিন ওই ভিড়ের দিকে তাকিয়ে আমি আল্লা হু আকবর বলতে থাকি। কারণ, আমি ভিতরে ভিতরে ভয় পেয়েছিলাম। আমি ভয় পেলে আল্লার নাম নিই। আল্লার নাম নিলে সাহস ফিরে পাই।’’

মুসকান আরো জানান, ‘‘আমি পড়াশোনা করতেই কলেজে গিয়েছিলাম। এত বাধার পরেও ভেবেছিলাম, সোজা ক্লাসে ঢুকে যাব। কিন্তু ওই ভিড়ে যারা ছিল, তাদের মানবিকতা বলতে কিছু ছিল না। আমার পিছনে এসে এমন চিৎকার শুরু করে, বাধ্য হয়েই প্রতিবাদ করি।’’

মুসকান জানাচ্ছেন, সে দিন তিনি আসাইনমেন্ট জমা দিতে কলেজে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে দরজা থেকেই আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বোরকা-হিজাব খুলে কলেজে ঢুকতে হবে, নয়তো বাড়ি ফিরে যাও- এমন দাবি ছিল গেরুয়া-ভিড়ের। সেই সময়ে ভিতরে ভিতরে ভয় পেলেও পিছপা হননি মুসকান। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

বোরকা পরে থাকায় তার আগে আরও চার ছাত্রীকে কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়, তারা ভয় পেয়ে কান্নাকাটি করেন, এমনটাই বলছিলেন মুসকান। শেষ পর্যন্ত কলেজের অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে সকলে ভিতরে আসেন। মুসকান বলেন, ‘‘ওরা ভয় পেয়ে কান্নাকাটি করছিল, আমি কাঁদিনি।’’এবং ওই ঘটনার পরও কলেজ শেষে একাই বাড়ি ফিরেছিলেন মুসকান।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved