শিরোনাম :
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ফিরছে ইসরায়েল আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি: মেজর হাফিজ অহেতুক কথা বলে হাস্যস্পদ হবেন না : সরকারকে আলাল রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এসবির রিপোর্টার নিহত কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে যাত্রীবাহী ট্যাক্সি, নিহত ১০ একটা পণ্য বর্জন করলেই জাতি মুক্ত হ‌বে: গয়েশ্বর শিক্ষক বলেছিলেন ‘ইউ আর নট ফিট ফর ঢাবি’, সেই অথৈ সি ইউনিটে প্রথম মেট্রোরেলের ওপর দিয়ে যাওয়া ইন্টারনেট-ডিসের তার অপসারণের নির্দেশ ‘জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ’ কারাবন্দী বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা! ‘মুক্তিপণের বিষয়ে এখনো কথা হয়নি’ টানা তিন দিন বিছানায়, ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে মাঠে নেমেই ম্যাচসেরা সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৮ মস্কো হামলার ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ১৪৩

আজ বিশ্ব হাতি দিবস

  • শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২

ঢাকা : বিশ্ব হাতি দিবস আজ। ২০১২ সাল থেকে আজকের এই দিনটিতে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব হাতি দিবস। বাঘ, সিংহের পর যে প্রাণীটির কথা সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হলো হাতি। জীবজগতের বৃহত্তম স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী এটি।

নগরায়ন ও বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে হাতির বিচরণভূমি। অন্যদিকে, কালোবাজারি ও চোরাকারবারীদের শিকারে পরিণত হয় বিলুপ্ত হচ্ছে প্রাণী জগতের এই বৃহত্তম স্থলচর প্রাণী।

জনসচেতনতা বাড়াতে ২০১২ সালে কানাডিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা প্যাট্রিসিয়া সিমস ও মাইকেল ক্লার্ক এবং থাইল্যান্ডের এলিফ্যান্ট রিইন্ট্রোডাকশন ফাউন্ডেশনের প্রধান শিভাপর্ন দারদারানন্দ বিশ্ব হাতি দিবস প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে ১২ আগস্ট বিশ্ব হাতি দিবস পালিত হয়।

মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বনবিভাগের সাড়ে ৬ হাজার একর সংরক্ষিত বনের গাছপালা আর পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়। আর জ্বালানি সংগ্রহে ধ্বংস হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের আরও ২ হাজার একর গহীন বনাঞ্চল।

এসব পাহাড় ও বনভূমি ছিল প্রাণিদের অবাধ বিচরণ ও অভয়াশ্রম। কিন্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীববৈচিত্র্য। বনবিভাগের ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বনাঞ্চলে বিচরণকারী হাতি ছিল ৬৩টি। কিন্তু আবাসস্থল ধ্বংস ও খাদ্য সংকটে মারা গেছে অনেক হাতি।

বন্যহাতি রক্ষায় অভয়াশ্রম গড়ে তোলার পাশাপাশি, খাদ্য সংস্থানে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি পরিবেশবিদদের।

গত দশ বছরে সারা বিশ্ব থেকে হাতি কমেছে ৬২ ভাগ। অনেকেরই আশঙ্কা আগামী দিনে হাতি সংরক্ষণ এবং গ্রামবাসীদের হাতে হাতি নিধন ও চোরাশিকারীর উপদ্রব কমাতে না পারলে বিশাল দেহের ডাইনোসরের মত বিলুপ্ত হবে হাতিও। স্থলচরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতিও এখন বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কায়। এই নিয়ে বিশ্ব জুড়ে চলছে আলোচনা। শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাণী বিশ্লেষকরা।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি বছর যে হারে হাতি কমছে. তাতে ১০ বছর পর চিড়িয়াখানা ছাড়া আর কোথাও এই প্রাণীর অস্তিত্ব থাকবে না।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved