ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদকের নেওয়া পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এ প্রতিবেদন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চেদাখিল করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এতে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এবং সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং অডিট ফার্মগুলোর সংশ্লিষ্টতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে অর্থ আত্মসাত ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর নামে পৃথকভাবে সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। তবে সাবেক তথ্য সচিব মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ বা মামলা সংক্রান্ত অনুসন্ধানের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের এখন পর্যন্ত ১৭৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি, ৪টি ফ্ল্যাট, ২০ হাজার বর্গফুটের একটি ভবন অবরুদ্ধ করেছে দুদক। যার বাজার মূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন মডেলের ২২টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এর বাইরে আইএলএফএসএল এর অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে মোট ৩৪টি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর বর্তমানে বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শাখা থেকে তদন্ত চলছে। এর মধ্যে এসকে সুরের বিরুদ্ধে বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শাখায় পাওয়া একটি অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মান্নানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের ২টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।