কুমিল্লা : কুমিল্লার নানুয়ার দিঘিরপাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন রেখেছিলেন ইকবাল হোসেন। কুরআন রাখার সময় হনুমানের হাতের গদা সরিয়ে ফেলে অভিযুক্ত ইকবাল। এরপর সেই গদাটি পুকুরে ফেলে দেন তিনি।
কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, ইকবালকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে শনিবার (২৩ অক্টোবর) ধর্ম অবমাননার মামলায় ইকবালসহ চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রিমান্ডে নেওয়া অন্য আসামিরা হলো, ৯৯৯-এ কল করে মণ্ডপে কুরআন পাওয়ার তথ্য জানানো ইকরাম হোসেন, নগরীর শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরি (রা.)-এর মাজারের সহকারী খাদেম হুমায়ুন আহমেদ ও ফয়সাল আহমেদ।
গত ১৩ অক্টোবরের ওই ঘটনায় সারাদেশে দুর্গাপূজার উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। ওই মণ্ডপের পাশাপাশি হামলা চালানো হয় কুমিল্লার আরও বেশ কিছু পূজামণ্ডপে।পরবর্তীতে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
মণ্ডপে কুরআন রাখা যুবক ৩০ বছর বয়সী ইকবাল হোসেন কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে। নূর আলম পেশায় মাছ ব্যবসায়ী।
কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ বলেন, ‘ইকবাল মণ্ডপে পবিত্র কুরআন রাখার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। এ মামলার চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘মণ্ডপে কুরআন রাখার পর হনুমানের গদা নিয়ে ইকবালের চলে যাওয়ার দৃশ্য এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ইকবাল গদাটি নিয়ে একটি পুকুরে ফেলে দেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইকবাল কুরআন রাখার পর মণ্ডপে সহিংসতার সময়েও উপস্থিত ছিলেন। তার পেছনে আরও কারা আছে, আমরা খতিয়ে দেখছি।’