আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের বন্দর থেকে শস্য রফতানি অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। এই চুক্তি জারি রাখার বিষয়ে রাশিয়ার একমতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
সম্প্রতি তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া শস্য রপ্তানি চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করার ঘোষণা দেয় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই চুক্তি ইউক্রেন থেকে ৯ মিলিয়ন টন শস্য রপ্তানি করার অনুমতি দেয় রাশিয়া। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম কমবে আশা করা হচ্ছিল। খবর এএফপির
সেসময় রুশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এই চুক্তি স্থগিত করেছে কারণ, শনিবার দিনের প্রথম দিকে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপকূলে নোঙর করা রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিট জাহাজ আক্রমণ করে ইউক্রেনীয় ড্রোন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার কৃষ্ণ সাগরের শস্য করিডোরে অংশগ্রহণ স্থগিত করার জন্য একটি ‘মিথ্যা অজুহাত’ ব্যবহার করার জন্য মস্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই চুক্তি স্থগিত করার মাধ্যমে, রাশিয়া আবারও তাদের আরম্ভ করা যুদ্ধটিতে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যার ফলে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলো এবং বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য সরাসরি প্রভাবিত হবে এবং ইতোমধ্যেই শোচনীয় মানবিক সংকট ও খাদ্য অনিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।’
জাতিসংঘ রাশিয়াকে চুক্তির বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানায়। তারপরই তুরস্ক এ বিষয়ে ফের উদ্যোগ নিয়ে রাশিয়াকে রাজি করিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশটি থেকে শস্য রফতানি। বিশ্বে শস্য রফতানির দিক দিয়ে ইউক্রেন প্রথম সারির দেশ। সেটি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম প্রচুর বেড়ে যায়।
করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এই পরস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ করেছে বিভিন্ন দেশ। তারপর জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের বন্দর থেকে শস্য রফতানির অনুমতি দেয় রাশিয়া।