শিরোনাম :
পাকিস্তানে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা হ্রাস করল পার্লামেন্ট ৫১টি হাসপাতালে শুরু হচ্ছে ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ সৌদিতে বাস দুর্ঘটনায় মৃত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮ সরকারের অবৈধ হত্যাকাণ্ডের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে : ছাত্রদল পদ্মা সেতুর রেললাইন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত বিএনপি বুঝতে পেরেছে, নির্বাচনে তাদের কোনো আশা নেই : তথ্যমন্ত্রী গণতান্ত্রিক দল হয়ে আ.লীগ কেন গণতন্ত্র হত্যা করছে: মঈন খান সাকিব-লিটনের রেকর্ডময় দিনে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের ক্ষমতা কেড়ে নিলেন হাইকোর্ট দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার আন্তর্জাতিক বাজারে কমল স্বর্ণের দাম দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত নির্বাচন কমিশনের আলোচনার প্রস্তাব গ্রহণ করছে না বিএনপি: ফখরুল আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উপজেলা পরিষদে ইউএনওদের ক্ষমতা কেড়ে নিলেন হাইকোর্ট

সাহেদের সঙ্গে আপনার এত মহব্বত কীভাবে?

  • বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১

ঢাকা : আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের সঙ্গে কী করে খাতির হয়েছিল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন বিচারক।

রিজেন্ট কেলেঙ্কারির মামলায় ডা. আজাদ বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ ২ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। সেই শুনানিতেই স্বাস্থ্যের ডিজিকে বিচারক ওই প্রশ্ন করেন।

শুনানি চলাকালে আবুল কালাম আজাদ বিচারককে বলেন, আমি সারাজীবন কোনো অন্যায় করিনি, আর কখনও অন্যায় করবও না। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে করোনার যে অবস্থা, সেই অবস্থায় সচিব মহোদয়ের নির্দেশে… মানুষের জীবন বাঁচাতে এটা (রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি) করতে হয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের সামনে (চুক্তি) স্বাক্ষর করা হয়েছিল।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাহেদ যে একজন প্রতারক, সেটি আমার জানা ছিল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের মাধ্যমে দৈনিক ৫০টি করোনা টেস্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

‘কিন্তু মানবসেবার নামে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য টাকা নিচ্ছে রিজেন্ট হাসপাতাল এমনটি অভিযোগ পরে জানতে পারি। এর পর আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম, ওই দুটি শাখা (রিজেন্ট হাসপাতালের) বন্ধ হয়ে যাবে।’

বিচারক এ সময় আজাদকে বলেন, সাহেদের সঙ্গে আপনার এত মহব্বত কীভাবে হয়েছিল?

আজাদ উত্তরে বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার দিন সাহেদের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয় উপস্থিত ছিলেন। আরও বড় বড় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই থেকে সাহেদের সঙ্গে আমার পরিচয়।

তিনি আরও বলেন, আমি আগে থেকে জানতাম না সাহেদ একজন প্রতারক ছিলেন। স্যার, আমার ডায়াবেটিস রয়েছে। আমরা জীবন তুচ্ছ করে মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি কোনো অপরাধ করিনি, আর ভবিষ্যতেও করব না।

লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে ‘সরকারি অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগে এ মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আবুল কালাম আজাদসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাকি চার আসামি হলেন— স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা মো. দিদারুল ইসলাম।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved