ঢাকা : শুধু রাজধানী নয়, গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ফেনীতেও। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত থাকে না গ্যাস। এরপর গ্যাসের দেখা মিললেও রান্নাবান্নায় লেগে যায় দ্বিগুণ সময়। ভোগান্তিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। অনেকে মাটি বা সিমেন্টের চুলাতেই রান্নার কাজ সারছেন।
শুধু রাজধানী নয়, গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে ফেনীতেও। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত থাকে না গ্যাস। এরপর গ্যাসের দেখা মিললেও রান্নাবান্নায় লেগে যায় দ্বিগুণ সময়।
সোনাপুরের দিল আফরোজ বেগম জানান, গ্যাস আসার পর চুলায় রান্না বসিয়েছিলাম। তবে গ্যাসের চাপ নেই তেমন। এভাবে রান্না করাও যেন আরও এক ধৈর্য্যের পরীক্ষা। বেলা ৩টার সময়ও এই সমস্যা।
শহরের বিরিঞ্চি এলাকার জাহানারা বেগম ও সুলতানা বেগমের অবস্থাও একইরকম। সকালের নাস্তা তো ঘরে হয়ই না, দুপুরের খাবারও খেতে খেতে সন্ধ্যা তাদের।
গ্যাসের চুলার বিকল্প বেছে নিয়েছেন হালিমা বেগম। দিব্যি রান্না করছেন, মাটির চুলায়। তার মতো অনেক বাসাবাড়িতে মাটি বা সিমেন্টের চুলা থাকলেও আছে জ্বালানীর অভাব।
গ্যাসের তীব্র সংকটে ভোগান্তিতে সহদেবপুর, পেট্রোবাংলা, পরশুরাম ও ফুলগাজীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। দফায় দফায় দাম বাড়লেও কাটছে না সংকট। বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপকের সাথে এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি।
গ্যাসের সমস্যা সাময়িক, শিগগিরই সরবরাহ স্বাভাবিক হবে আশা জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসানের।
ফেনীতে এলাকাভেদে গ্যাস সংকট দুই মাস থেকে শুরু করে দুই বছর পর্যন্ত।