শিরোনাম :
সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেনও দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা মহাখালীর বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ তপশিল স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪ গাজার বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি অসম্ভব : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিশ্বব্যাপী আজ ধর্মঘটের ডাক পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা কমে ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ কর্ণফুলীতে সারবোঝাই জাহাজডুবি নিপাহ ভাইরাস নিয়ে ভয়ংকর তথ্য, খেঁজুরের রস খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ভারত থেকে আসছে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ গাজায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত পিরোজপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার সাতসকালেই ‘বিপজ্জনক’ ঢাকার বাতাস

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভেষজ চা

  • সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ফিচার ডেস্ক: আবহাওয়ার পরিবর্তনে জ্বর, সর্দি, কাশি প্রতিদিন লেগেই রয়েছে। ইদানীং ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগের বিস্তার সর্বত্র। ভাইরাস ঠেকাতে মুঠো মুঠো ওষুধ খেলেই হবে না। শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। দিনের শুরুতে এক কাপ চা না হলে দিনটিই যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায় অনেকের। তবে সুস্বাদু এক কাপ চা যে কোনো সময় মেজাজ ভালো রাখতে পারে। শুধু মন ভাল রাখতেই নয়, শরীর সুস্থ রাখতেও চা পানের বিকল্প কিছু নেই। সাধারণ চায়ে কয়েকটি উপকরণ মেশালেই তা প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। চায়ে মেশালেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকবে না। ভিটামিনের অভাব মেটাতে পারে চা। তবে দুধ, চিনি দেওয়া চা নয়। তার জন্যে প্রয়োজন বিশেষ কিছু উপাদান।

কয়েক ধরনের চা খেলে স্বস্তির পাশাপাশি বেশ কিছু উপকার পাওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে আছে আদা চা, দারুচিনি চা, গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি ও হারবাল চা। এই চা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখে।

চায়ে ‘ট্যানিন’ নামক উপাদান থাকে। খাবার খাওয়ার পর চা পান করলে এই উপাদান শরীরে দ্রবীভূত হতে পারে না। তাই বলা হয়, যে কোনও খাবার খাওয়ার ৩০-৪০ মিনিট পর চা পান করলে শরীরে চায়ের স্বাস্থ্যগুণ মেলে।

চায়ের মধ্যে ট্যানিন শরীরে আয়রন দ্রবীভূত হতে দেয় না। তাই ছোলা, ডাল, মাছ, মাংস, ডিমসিদ্ধ ইত্যাদি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পর চা পান একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। চায়ের সঙ্গে অল্প বাদাম, আমন্ড, হালকা বিস্কুট খেলে ক্ষতি নেই। এখন বাজারে এসেছে নানা প্রকারের চা। দুধ-চিনি মেশানো চায়ের ককটেল নাকি লিকার চা কোনটি আপনার সারাদিনের ডায়েটে থাকলে ভাল, কেন ভাল সেটা জেনে চুমুক দিন।

হারবাল টি

সিনেমন টি: চা পাতার সঙ্গে অল্প দারচিনি গুঁড়া মিশিয়ে পান স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখে, সিস্ট (পিসিওএস)-এর সমস্যায় ভাল, ওজন কমায়, হার্ট ভাল রাখে, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

তুলসি চা: সর্দি-কাশিতে তুলসি পাতা, মধু চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপকারী। ফুসফুসের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

লবঙ্গ চা: চায়ের সঙ্গে লবঙ্গ থেঁতো করে পান করলে তা অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল।

আদা চা: ৪ গ্রাম আদা চায়ে মিশিয়ে পান করলে অনেক ভিটামিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি মিনারেল মিলবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি ব্যথানাশক। টেনশন বা স্ট্রেস থেকে পেটের সমস্যা রোধ করে, অ্যালার্জি, ব্রংকাইটিস প্রতিরোধ করে। রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

লেবু চা: ওজন কমায়, ক্লান্তি কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লিকার চায়ে লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন। লেবুর রসে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশির হাত থেকেও আরাম দিতে পারে লেবু-চা।

তেজপাতা চা: তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬। তেজপাতার গন্ধে মন একেবারে তরতাজা হয়ে ওঠে। পাশাপাশি চায়ের পুষ্টিগুণও বেড়ে যায় অনেকখানি।

হলুদ চা: এক চিমটে হলুদ দুধ কিংবা চায়ে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ, হলুদে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি। সঙ্গে হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

গোলমরিচ: গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে, এ, সি এবং বি। ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়ে গোলমরিচ দিয়ে খাওয়ার চল বহু পুরনো। এ ছাড়াও আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো খনিজ রয়েছে গোলমরিচে। এক কাপ গোলমরিচ দেওয়া চা যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, তেমনই বিপাকহার উন্নত করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

গ্রিন টি

গ্রিন টি ৭০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য, গ্রিন টি টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের দাঁতে বা মাড়ির সমস্যা রয়েছে তাদের এই চা পানে অনেক উপকার মেলে। গ্রিন টি, মধু দিয়ে পান করা অনেক বেশি ভাল। মহিলাদের ৩০-বছর বয়সের পর হাড়ের ক্ষয় ও পেশি দুর্বলতা প্রতিরোধ করে।

গ্রিন টিতে উপস্থিত ‘ক্যাথেচিন’ নামক ফ্লাভেনয়েড অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গ্রিন টিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা অনেক বেশি। এই চায়ে ক্যাফিনের মাত্রা অনেক কম। চুল পড়ার সমস্যা কমে। মহিলাদের হরমোনাল সমস্যা রোধ করে।

গ্রিন টিতে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ক্লোরাইড ইত্যাদি মিনারেল রয়েছে। তাই কিডনির সমস্যা থাকলে গ্রিনটি পান করা যাবে না। এছাড়া গ্রিন-টিও দিনে তিন-চার বার পান করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত চা পান চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে করুন। গ্রিন-টি কিংবা ব্ল্যাক টি বড় কফি কাপে পান নয়। ছোট চা-এর কাপে (১৫০ এমএল) চা পান করুন । ক্ষতি নেই।

হোয়াইট টি

একদম কচি চা পাতা থেকে যে চা তৈরি হয়, তাই হল হোয়াইট টি। এই চা সবচেয়ে দামি। এই লিকারের রং হালকা হলুদ বর্ণের হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা গ্রিন টি-এর চেয়েও বেশি।

ব্ল্যাক টি

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় ব্ল্যাক টি বা কালো চা। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কালো চা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া এই চা নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে তা হতে হবে দুধ ছাড়া রং চা। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য অবশ্যই রং চাকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ব্ল্যাক টি দুধ ও চিনি ছাড়া পান করলে, তা দিনে চার বার পান করলেও ক্ষতি নেই।

ওলং টি

এই চা, একদম কচি চা পাতা থেকেই তৈরি তবে হোয়াট টির চেয়ে একটু আলাদা। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এই চায়ের ঔষধি গুণ অনেক। ওজন কমায়। ক্লান্তি কাটায়। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ক্যানসার প্রতিরোধ করে। মন ভাল রাখতে সাহায্য করে।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved