ঢাকা: পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বুধবার (৫ জানুয়ারি)। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এছাড়াও নাঠে রয়েছে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সোমবার থেকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরণের যান চলাচল।
পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ইতোমধ্যে ৫২ জন চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৩২ জন এবং সাধারণ সদস্য ১০৯ জন বিনা ভোটে জয়ী হন। বাকি পদগুলোতে ভোট গ্রহণ শুরু হবে বুধবার সকালে।
ইসি সূত্রে জানান যায়, এ ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৪০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। বাকিগুলোতে কাগজের ব্যালটে ভোট হবে।
৭০৮ ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৬ হাজার ৪৫৭ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২৭৪ জন, সংরক্ষিত সদস্য ৭ হাজার ৯৫০ এবং সাধারণ সদস্য ৩৯ হাজার ৩৯১ জন। এ ধাপে মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ১৯৫ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১ জন ও পুরুষ ৭০ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা ২১ জন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার শঙ্কা করছেন প্রার্থীরা। গত চার ধাপের নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন ভাবে জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই, বোমা হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি-ঘর ও নির্বাচনী ক্যাম্পে। হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। এ ঘটনাগুলোতে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন আওয়ামী লীগ ও দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।