স্পোর্টস ডেস্ক : গত জুলাইয়ে অনূর্ধ্ব-২০ সাফে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম। প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আজকেও জ্বলে উঠলেন মিরাজ। আবারও করলেন হ্যাটট্রিক। করালেন আরেক গোল। মিরাজের আলোয় আলোকিত বাংলাদেশ উঠল সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ চারেও।
শ্রীলঙ্কার জালে ৫ গোল দিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। শেষ চার নিশ্চিত করতে আজ এক পয়েন্ট হলেই চলত লাল-সবুজ যুবাদের। এক পয়েন্ট নয়, মালদ্বীপকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্টই পেয়েছে পল স্মলির দল।
গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচে ১০ গোল করেছে বাংলাদেশ। ৬ পয়েন্টে হয়েছে ‘এ’ গ্রুপের সেরা। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবেন ইমরান খানরা।
কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় আজ নিজেদের প্রথম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত ধরে দারুণ ড্রিবলিংয়ে মালদ্বীপ ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মিরাজুল ইসলাম। মিরাজের কাটব্যাকে বল পান ফাঁকায় থাকায় নাজমুল হুদা ফয়সাল। গোলরক্ষককে একা পেয়ে সহজেই বল জালে জড়ান ফয়সাল।
২০ মিনিটের মাথায় আবারও দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। মিডফিল্ডার মো.রাতুলের শট ফিরিয়ে দেন মালদ্বীপ গোলরক্ষক রাজীব মোহাম্মদ।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন ফরোয়ার্ড মুর্শেদ আলী। আজ বারবার আতঙ্ক ছড়ালেন মালদ্বীপের রক্ষণেও। ফলটা এসেছে ৩৭ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো বলে বাঁ প্রান্ত থেকে এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে মুর্শেদের নেওয়া মাটি কামড়ানো শটে বল মালদ্বীপ গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে জড়ায় জালে।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আরেকবার বল জালে জড়িয়েছিলেন ডিফেন্ডার সিরাজুল ইসলাম রানা, তবে অফসাইডের কারণে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর বাঁশি বাজতে আবারও সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। মালদ্বীপ বক্সে অধিনায়ক ইমরান খানের ভলি থেকে সুযোগ থাকার পরও হেডে বল জালে জড়াতে পারেননি মিরাজুল ইসলাম।
ম্যাচে মালদ্বীপ তাদের প্রথম সুযোগ পায় ম্যাচের ৫৮ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত ধরে বেশ জোরের সঙ্গেই শট নিয়েছিলেন মালদ্বীপ ফরোয়ার্ড আজুলান আলী। তবে গোলরক্ষক আসিফ সতর্ক থাকায় এ যাত্রায় কোনো বিপদে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে।
পুরো ম্যাচ জুড়ে দারুণ খেলেও গোল পাচ্ছিলেন না অনূর্ধ্ব-২০ সাফে মালদ্বীপের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম। ৭৫ মিনিটে জ্বললেন আবারও। নাজমুল হুদা ফয়সালকে দিয়ে প্রথম গোল করিয়েছিলেন, সেই ঋণ শোধ করেছেন ফয়সাল । বক্সের বাইরে থেকে ফয়সালের রক্ষণ চেরা পাসে মালদ্বীপ গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মিরাজ।
তিন মিনিট পর আবারও জ্বলে ওঠেন মিরাজ। ৭৮ মিনিটে সেই বাঁ প্রান্ত ধরে তাঁর কোনাকুনি শট মালদ্বীপ গোলরক্ষকের গ্লাভসে লেগে গড়িয়ে জড়ায় জালে। অতিরিক্ত সময়ে পূরণ করেন মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক।