শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ দেশে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে : টুকু স্বাধীনতার নামে সাংবাদিকতা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়: তথ্যমন্ত্রী তিন মাসে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার ৫৬ সাংবাদিক : আসক দুই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তেও ঘটনায় ৯ মার্কিন সেনা নিহত যুদ্ধাবস্থার কারণে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি : শিক্ষামন্ত্রী মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত রাশিয়া ছাড়ার আহ্বান খাবারের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র চায় রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র ভারতে পাচারের সময় ৪০ হাজার ডলার জব্দ মধ্যপ্রদেশে মন্দিরে কূপ ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি পর্যন্ত চালু হলো মেট্রোরেলের সব স্টেশন জাল নোট চেনার সহজ উপায় ফের বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৪৪ গভীর রাতে বাড়ি ফিরেছে রাজধানীতে নিখোঁজ চার বান্ধবী বিশ্বজুড়ে করোনায় আরও ৪৮৫ জনের মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত

মহামারিতেও দেশে খাদ্য সংকট হয়নি: কৃষিমন্ত্রী

  • রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১

ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে করোনা মহামারির মাঝেও দেশে খাদ্য সংকট হয়নি এবং মানুষ না খেয়ে নেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের খাদ্য ও কৃষিতে অভাবনীয় সফলতা অর্জিত হয়েছে। দেশের উর্বর জমি ও পানি জনগণের জন্য বড় আশীর্বাদ। এ উর্বর ভূমি ও পানি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের কৃষি আরও অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।

রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর : কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক কৃষি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের যোগান দেওয়া এবং কৃষির আধুনিকায়ন করা। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে ধান চাষ হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষ জনপ্রতি প্রায় ২০০ গ্রামের মতো চাল খেয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে চাল খাওয়ার পরিমাণ জনপ্রতি প্রায় ৪০০ গ্রাম।

‘পুষ্টিকর খাবার দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, ফলমূল প্রভৃতি খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে পারলে চালের এ ব্যবহার কমবে। আর চালের ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারলে আমাদের যে চালের উৎপাদন সেটাকে টেকসই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। অন্যদিকে, ধান চাষে জমি কম ব্যবহার করে অন্যান্য ফসলের উৎপাদনে কাজে লাগানো যাবে’, যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করে অনেক আয় করে। কিন্তু আমরা এক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের কৃষিপণ্যের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার বিস্তৃত করতে হবে। এ জন্যে কৃষির প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে।

ফলের উৎপাদন বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন অনেক বিদেশি ও অপ্রচলিত ফল চাষ হচ্ছে। একসময়ে স্ট্রবেরিও হতো না আমাদের দেশে। এখন অনেক ভালো মানের স্ট্রবেরি উৎপাদন হচ্ছে। আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে এদেশে সারা বছর আম পাওয়া যাবে এমন পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স এবং এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি. সিম্পসন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. এফ এইচ আনসারী, আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান শেখ নাসির উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved