আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের বেশিরভাগ যুদ্ধ সংগঠিত হচ্ছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে। বিশ্বব্যাপী সংঘাত ও চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। বন্যা কবলিত পাকিস্তান ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ইসলামি ব্লকের বার্ষিক সমন্বয় সভায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বর্তমানে কম নিরাপদ এবং আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে এবং দুর্ভাগ্যবশত প্রায় এর ৬০ শতাংশ সংঘাত ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে হচ্ছে।’
ভয়াবহ বন্যার শিকার হওয়া পাকিস্তানের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখ পাকিস্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ১,৫৭৬ জন মারা গেছেন এবং ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তি এবং ফসল ধ্বংস হয়েছে।
এরই মধ্যে বড় ধরনের সহযোগিতা পাকিস্তানে পাঠিয়েছে তুরস্ক। কাভুসোগলু বলেন, ‘তুরস্ক এবং তুর্কি জনগণ ভ্রাতৃপ্রতিম পাকিস্তান এবং পাকিস্তানি ভাই ও বোনদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
ফিলিস্তিনের বিষয়ে কাভুসোগলু বলেন, ‘আঙ্কারা সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাইছে এবং তুরস্ক ফিলিস্তিনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। ফিলিস্তিনের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং জেরুজালেমকে এর রাজধানী হিসেবে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’
ওআইসি জাতিসংঘের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তঃসরকারি সংস্থা। এর ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্র চারটি মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ১৯৬৯ সালে মরোক্কোর রাজধানী রাবাতে একটি ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে ওআইসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিরিয়ায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ২২৫৪ এর ভিত্তিতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই একটি স্থায়ী সমাধান অর্জন করা যেতে পারে।’
লিবিয়ার বিষয়ে কাভুসোগলু বলেন, ‘দেশটির জন্য নির্বাচনের সময়সূচীসহ আইনি ভিত্তি এবং কংক্রিট রোডম্যাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানসহ সব দলের সম্মিলত প্রশাসন ও নারী-শিশুসহ সকলের অধিকার নিশ্চিতের পক্ষে তুরস্ক।
মুসলিম বিশ্বে আরও কার্যকর অবদান রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান জানান
কাভুসোগলু।
সূত্র: টিআরটি