ঢাকা : বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দেশটিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় রফতানি বাজার। বাংলাদেশের ফার্নিচার, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকায় সফররত এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অফ কমার্স ফর গ্লোবাল মার্কেট এন্ড ডাইরেকটর জেনারেল অফ দি ইউএস এন্ড ফরেন কমার্সিয়াল সার্ভিস অরুণ ভেনকাটারাম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়া এগ্রোফুড প্রসেসিং, টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট, বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ, আইসিটি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা বাংলাদেশের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এখানে বিনিয়োগ করলে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৩২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ নিরাপদ বিনিয়োগের বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি রয়েছে।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেনন্টের (এফডিআই) ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। মার্কিন বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিজিটাল কমার্স এ দক্ষতা অর্জনে বাংলাদেশ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

ইউএসএ অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অফ কমার্স অরুণ ভেনকাটারাম্যান বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন খুবই উৎসাহব্যাঞ্জক। বাংলাদেশের ট্রেড ফেসিলিটেশন বেশ ভালো। অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ডিজিটাল বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে।

অরুণ ভেনকাটারম্যান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে যুক্তরাষ্ট্র।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ আগত ডেলিগেশনের সদস্যবৃন্দ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম আহসান, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. আব্দুর রহিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।