ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের মোড়লহাট গ্রামের এক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী থেকে জেলা শহরে আসার সময় একই এলাকার আসলাম, বাবুলসহ ৫-৬ জন শিক্ষার্থীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন তারা। এর পরে রাতে জেলা সদরের শ্রী কৃষ্টপুর ইক্ষু খামারে ভুক্তভোগীকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের বেডে শুয়ে ভুক্তভোগী জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে প্রতিবেশী চাচাদের মামলায় তার বাবা ও ভাই কারাগারে আছেন। তাদের দেখতে আসার সময় ‘সেই চাচারা (বিবাদী)’ অটোরিকশায় উঠে তার গলায় ছুরি ধরে। পরে মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে সে দেখে একটি ঘরে ৬ জন তাকে ঘিরে ধরে আছে। এ সময় তাদের যৌন নির্যাতনে সে আবার জ্ঞান হারায়। তারপর জ্ঞান ফিরলে সে দেখে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
ভুক্তোভোগীর মা বলেন, আমাদের বাড়িতে কোনো পুরুষ নেই৷ দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে পলাতক, আরেক ছেলে ও স্বামী জেলখানায়৷ এখন কী করব বুঝে উঠতে পারছি না৷
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স জানান, নির্যাতনের ফলে ভিকটিমের যৌনাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত য়েছে। সেখানে ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথায় আঘাত করায় সেখানেও ক্ষত হয়েছে এবং পেটেও ছুরির আঘাত রয়েছে।
বালীয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিকটিমের বাড়ি বালীয়াডাঙ্গী থানার মধ্যে কিনা তা জানতে আমাদের কর্মকর্তা সেখানে গেছেন।