স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলের হার দিয়ে শুরু। এরপর বেনফিকার মাঠেও একই ব্যবধানে উড়ে যায় বার্সেলোনা। টানা দুই হারে ভীষণ চাপে পড়ে যাওয়া কাতালানরা অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইউক্রেনের ক্লাব ডায়নামো কিয়েভকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন জেরার্ড পিকে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে জর্ডি আলবার ভাসানে ক্রস থেকে ভলিতে গোলটি করেন পিকে।
এটা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরে বার্সেলোনার প্রথম গোল। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে পিকের ১৬তম গোল। আর কিয়েভের বিপক্ষে তার তৃতীয়। এই গোলের মধ্য দিয়ে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে রবার্তো কার্লোসের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন তিনি।
বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকা বার্সা গোলমুখে ১১টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে তিনটি। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণের বিপরীতে ইউক্রেনের ক্লাব কিয়েভ তিনটি শট নিতে পারলেও একটিও ছিল না লক্ষ্যে। ফলে স্বাগতিক গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে গোলপোস্টের নিচে অলস সময় পার করতে হয়।
সার্জিনো ডেস্ট দারুণ সুযোগ নষ্ট না করলে দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা। দূরের পোস্টে আলবার বিপজ্জনক ক্রসে গোলপোস্টের খুব কাছ থেকে তার হেড চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
১৮তম মিনিটে ফের হতাশ হতে হয় স্প্যানিশ পরাশক্তিদের। ডাচ ফরোয়ার্ড মেম্ফিস ডিপাই নিখুঁত ক্রস ফেলেছিলেন ছয় গজের বক্সে। কিন্তু ফাঁকায় থাকা তার স্বদেশি লুক ডি ইয়ং যে হেড নেন, তা লক্ষ্যেই থাকেনি।
তিন মিনিট পর গোলরক্ষক হেয়র্হি বুশ্চানের ভুলে গোল হজম করতে বসেছিল সফরকারীরা। তার দুর্বল পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গাভি বল বাড়ান লুকের উদ্দেশ্যে। ২০ গজ দূর থেকে তার নেওয়া শট কর্নার বিনিময়ে রক্ষা করেন বুশ্চান।
চার মিনিট পর ডিপাইয়ের কর্নারে লুকের আরেকটি প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। ৩৬তম মিনিটে হতাশা বাড়ান ডেস্ট। আলবার ক্রসে হিসাবনিকাশ করে শট নেওয়ার সময়-সুযোগ থাকলেও গোলরক্ষক বরাবর বল মারেন তিনি। তা লুফে নিতে বেগ পেতে হয়নি বুশ্চানের।
কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য গোলের উল্লাসে ফেটে পড়ে ক্যাম্প ন্যু। স্বদেশি আলবার মাপা ক্রসে দূরের পোস্টে ডান পায়ের দারুণ ভলিতে কিয়েভের জাল কাঁপান পিকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে এটাই তার প্রথম গোল।
বিরতির পর খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা আনসু ফাতির ৫৩তম মিনিটে নেওয়া ওভারহেড কিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৭১তম মিনিটে আরেক বদলি ফিলিপ কৌতিনহোর ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। তিন ম্যাচে প্রথম জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে গ্রুপের তিন নম্বরে। তলানিতে নেমে যাওয়া কিয়েভের পয়েন্ট ১। দুই ম্যাচ খেলে শীর্ষে থাকা বায়ার্নের অর্জন ৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বেনফিকা আছে দুইয়ে।