আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা হ্রাস করার বিষয়ে একটি আইন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। বুধবার দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (পার্লামেন্ট বা আইনসভা) সুপ্রিম কোর্ট (অভ্যাস এবং পদ্ধতি), বিল ২০২৩ পাস করেছে। এটার লক্ষ্য দেশটির প্রধান বিচারপতি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজের ক্ষমতা বলে কোনো আদেশ (সুয়ো মোটো নোটিশ) জারি করতে পারবেন না।
পাকিস্তানি পার্লামেন্টের আইন ও বিচার বিষয়ক স্থায়ী কমিটি মন্ত্রিসভার প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুমোদনের কয়েক ঘণ্টা পর আইন ও বিচার বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী আজম নাজির তারার উপস্থাপিত বিলটি পাস হয়। এ আইনটির লক্ষ্য দেশটির প্রধান বিচারপতিকে সুয়ো মোটো নোটিশ জারির ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা।
নতুন আইনে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এই কমিটি যেকোনো মামলা ও আপিল নিষ্পত্তি বা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ গঠন করে দেবে।
আগের আইনে প্রধান বিচারপতি একক ক্ষমতাবলে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে কোনো বিষয়ে আদেশ দিতে পারতেন এবং এর বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ ছিল না।
নতুন আইনে একক সিদ্ধান্তে আদেশ দেওয়ার এই সুযোগ আর থাকছে না। এখন আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে।
পর্লামেন্টে এ বিলের ওপর আলোচনার সময় পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, এই পদক্ষেপ ‘অনেক দেরিতে নেওয়া হয়েছে’ এবং এই বিলের নামকরণ করা উচিৎ ছিল ‘বিচারকদের ক্ষমতায়ন’ বিল।
বিলের বিষয়ে পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী তারার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনার কথা আলোচনা করা হয়েছে। আমি তাদের জানাতে চাই যে সংবিধান সংশোধন করার দরকার নেই। সংবিধানের ১৯১ ধারায় পার্লামেন্টকে এই আইন প্রণয়ন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
“সুপ্রিম কোর্টও তাদের বিধি সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই তৈরি করে থাকে এবং ১৯৮০ সাল থেকে তা চলে আসছে।”
আজম নাজির তারার বলেন, আদালতের কার্যক্রমকে স্বচ্ছ করার লক্ষ্যেই পার্লামেন্টে এই বিল তোলা হয়েছে ।
সূত্র : ডন