স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যকার ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশ থেমেছে ৮ উইকেটে ১৪৬ রানেই।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এদিন ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায়।
এর আগে ১৬৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করছিলেন দুই মেকশিফট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সাব্বির রহমান। প্রথম ২ ওভারে বাউন্ডারির দেখা পাননি মিরাজ। মোহাম্মদ ওয়াসিমকে পুল করে ১টি চার মেরেছেন সাব্বির। ফ্রন্ট ফুট সরিয়ে নিয়ে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা!
হারিস রউফকে দারুণ একটি শটে ইনিংসের প্রথম ছয়টি মেরেছিলেন মিরাজ। একইভাবে খেলতে গিয়ে বল গেছে স্কয়ার লেগে আসিফ আলীর হাতে। ১১ বলে ১০ রানে ফিরলেন মিরাজ। হারিস রউফকে খেলতে গিয়ে বল খাড়া ওপরে। ক্যাচ নিয়েছেন হারিস। ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩৮ রান। একইসঙ্গে শেষ পাওয়ারপ্লেও। অষ্টম ওভারে বাংলাদেশ পেরিয়েছে ৫০ রান।
প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তান ২ উইকেটে তুলেছিল ৭১ রান। বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৬৪ রান। মিরাজ, সাব্বিরের ফেরার পর পুনর্গঠনেই চেষ্টায় ছিলেন লিটন ও আফিফ। ২৫ বলে তাদের জুটিতে এসেছে ২৭ রান। দুটি স্লগ সুইপে চার পেয়েছিলেন লিটন দাস, কিন্তু এবার ধরা পড়লেন হায়দার আলীর হাতে। স্কয়ার লেগে প্রথমে বল থামানোর পর সেটি নিয়েছেন হায়দার। ফিফটির পরপরই থামল আফিফের সঙ্গে লিটনের জুটি। ২৬ বলে ৩৫ রান করে থেমেছেন লিটন।
নেওয়াজের বলে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে ব্যর্থ মোসাদ্দেক হোসেন। আম্পায়ারের এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তে রিভিউ করেও কাজে আসেনি। মোসাদ্দেক গোল্ডেন ডাক, আরেকটু চাপ বাড়ল বাংলাদেশের। পরপর দুই বলে নেই দুই উইকেট!
গেল ওভারে টানা দুই বলে ফিরেছেন লিটন-মোসাদ্দেক। ১৪তম ওভারে ফিরতে হলো আফিফকেও। শাহনেওয়াজ দাহানিকে মিড অফে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন আফিফ। ২৩ বলে ২৫ রান করে ফিরলেন তিনি। ১৪ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯৯। জয়ের জন্য দরকার ৩৬ বলে ৬৯।
১৫তম ওভারে পঞ্চম বলে লেগ স্পিনার শাদাব খান তুলে নিলেন নুরুল হাসানকে। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ। বাংলাদেশ অধিনায়ককে ফিরতে হলো ৯ বলে ৮ রান করে। ৮ বলে ২ রান করার পর তাসকিন আহমেদ ফিরলেন এলবিডব্লুতে। ব্যাটে লাগলে কট বিহাইন্ড হবেন, না লাগলে এলবিডব্লু—ওয়াসিমের বলে তার অবস্থা ছিল এমনই। শেষ পর্যন্ত হলোও তা-ই।
তাসকিন ক্ষেত্রে এলবিডব্লু রিভিউয়ের কারণে তাও কিছুটা সময় লেগেছিল। নাসুমের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। ওয়াসিমের ইয়র্কারে স্টাম্প হারিয়েছেন নাসুম। নেওয়াজের মতো তিনিও দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সামনে। তবে ওয়াসিম সুযোগ হারিয়েছেন ডাউন দ্য লেগে ওয়াইড করে।