শিরোনাম :
পিয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত ভারত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি : তথ্যমন্ত্রী বর্তমান সরকার পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে : মির্জা ফখরুল গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললে প্রধানমন্ত্রীর গা জ্বলে ওঠে : সালাম পঞ্চগড়ে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা : এখনও চার বাংলাদেশি নিখোঁজ রপ্তানি আয়ে এলো সুখবর, মে মাসে বাড়ল ২৭ শতাংশ মার্কিন ভিসা নীতি দুরভিসন্ধিমূলক : ১৪ দলীয় জোট চীনে ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৪ দেশে একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা স্যাংশন নয় প্রধানমন্ত্রীর মাথা ব্যথা নিরপেক্ষ নির্বাচন: রিজভী গণতন্ত্রের শত্রু হাসিনা, হাসিনার শত্রু গণতন্ত্র: গয়েশ্বর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে আরও দুই সপ্তাহ লোডশেডিং হতে পারে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

পাঁচ মাসে বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ারে ১৪৭ শতাংশ দর বৃদ্ধি, কারসাজির অভিযোগ

  • বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ঢাকা: এপ্রিলের শুরুতে বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ারদর ছিল ২৮.১ টাকা। আগস্টের শুরুর দিকে এসে তা দাঁড়ায় ৪৭.৬ টাকায়। আর বুধবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৬৯.৩৬ টাকায়। অর্থাৎ পাঁচ মাসের ব্যবধানে বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪৭ শতাংশের বেশি। এভাবে শেয়ারদর বৃদ্ধি কেন অস্বাভাবিক নয় জানতে চেয়ে গত ১৪ জুলাই বিডি ফাইন্যান্সকে চিঠি দিয়েছিল ডিএসই। কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই তাদের কোম্পানির শেয়ারদর বাড়ছে বলে জবাব দিয়েছিল বিডি ফাইন্যান্স।

আর এখানেই ঘাপলা দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। কারসাজি করেই বিডি ফাইন্যান্সের দর বাড়ানো হচ্ছে বলে শঙ্কা তাদের। কোনো না কোনো একটি পক্ষ থেকেই এই অসাধু কাজটি করা হচ্ছে বলেই মনে করেন তারা।

১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বিডি ফাইন্যান্স। ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স নামে কার্যক্রম চালাচ্ছে।

তালিকাভুক্তির ১৪ বছরে মধ্যে এক বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৯ সালে ২০ শতাংশ, ২০১০ সালে ২২ শতাংশ বোনাস এবং ২০২০ সালে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে শেয়ারহোল্ডারদের। বাকি বছরগুলোতে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিডি ফাইন্যান্সের উদ্যোক্তা পরিচালকদের সমন্বিত শেয়ার ছিল ৩০.৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরর সংখ্যা ছিল ২৪.২৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছিল ৪৫.৪৪ শতাংশ।

তবে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার সংখ্যা ৩০.৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর শেয়ার

১৫.১৫ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর শেয়ার বেড়ে ৫৩.৯৭ শতাংশ। বিদেশীদের কোন বিনিয়োগ নেই এই কোম্পানির শেয়ারে।

বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল না। জানুয়ারি মাসে কোন দিন দেখা গেছে একটি শেয়ার ও হাত বদল হয়নি।

আবার কোনদিন নাম মাত্র শেয়ার বিক্রি হয়েছে। তবে জুন, জুলাই ও আগস্টের মাসের কোন দিন দেখা গেছে একদিন ১ কোটির বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

বজলুর রহমান নামে এক বিনিয়োগকারী জানান,কয়েক মাস আগেও বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ারে কোন ক্রেতা ছিল না। তখন শেয়ারটির দর ছিল ২৮ টাকার মত। এখন শেয়ারটির দর ৭০ টাকা। কোন কারণ ছাড়াই শেয়ারদর হু হু করে বাড়ার পিছনে কোন কারসাজি চক্র জড়িত আছে।

প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.১৭ টাকা। ২০১৭ সালে ইপিএস ছিল ২.০১ টাকা, ২০১৮ সালে কমে ১.৮৫ টাকা, ২০১৯ সালে আরও কমে ১.৮০ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৭৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৭ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ৩৮৪টি। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, বিডি ফাইন্যান্সের ৩০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ রয়েছে।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved