ঢাকা: অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো রংপুরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেও দুর্ভোগে পড়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বাস মালিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে কেউ সমাবেশের দুদিন আগেই রংপুরে পৌঁছেছেন। কেউ আবার একদিন আগে এসেছেন।
অনেকে লম্বা পথ হেঁটে এসেছেন। দলবেঁধে নেতাকর্মীরা সাইকেলযোগেও এসেছেন। এছাড়া ট্রেন, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করেও সমাবেশে অংশ নিয়েছেন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সর্বোপরি বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা নিয়ে সমাবেশে পৌঁছেছেন নেতাকর্মীরা। ফলে শনিবার রাতেই রংপুরের নির্ধারিত মাঠে লোকজনে ভরপুর হয়ে যায়। শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে মিছিলের ঢল নামে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ হয় সমাবেশস্থল।
অন্যদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নগরীর বিভিন্ন মোড়ে তারা টহল দিচ্ছেন।
সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা খাবার সংকটের কথা চিন্তা করে কেউ বাড়ি থেকে কলা, রুটি, চিড়া-মুড়ি নিয়ে এসেছেন। পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে অনেকে বিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে পার পেয়েছেন।
জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের কারণে দুই দিন আগে থেকেই বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের আবাসিক হোটেলগুলোতে জায়গা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সমাবেশস্থলে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। গান-বাজনা আর স্লোগানে তারা মুখরিত করে রেখেছেন গোটা এলাকা।
সমাবেশে অংশ নিতে শুক্রবারই রংপুরে এসেছেন বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান অতিথি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও আগেভাগেই রংপুরে পৌঁছেছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ধর্মঘট চললেও বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাক, মিনি বাস, মোটরসাইকেল এবং ট্রেনযোগে রংপুরে এসে পৌঁছেছেন নেতাকর্মীরা।
বিএনপির নেতারা জানান, কর্মীদের আগমনে আগের রাতেই সমাবেশস্থল পূর্ণ হয়েছে কানায় কানায়। তাদের জন্য নগরীর ২০টি স্কুল মাঠে অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, বিএনপির সমাবেশেকে বাধাগ্রস্ত করতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকার। তাতে কোনো লাভ হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।