ঢাকা : সুনামগঞ্জে দুটি ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জাকির হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন খোকন, তাহিরপুর উপজেলার সাহিদাবাদ গ্রামের শফি উল্লাহ, ছাইদুর রহমান ও শফিউল।
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বাসচালক শহীদ মিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন।
বাকি দুই আসামি বাসের হেলপার রশিদ মিয়া (৩৪) ও কন্টাকটার আবু বকরকে খালাস দিয়েছেন আদালত। উল্লেখ্য, শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাওয়ার পথে ওই কলেজছাত্রীকে দিরাই পৌরসভার সুজানগর এলাকায় চালক ও হেলপার কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন।
এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করলে ও মামলা ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৪ জনকে খালাস প্রদান করে আদালত। বাকি তিনজন আসামির নাম তদন্তে প্রমাণিত না হওয়ায় পুলিশের অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়।
আরেকটি মামলায় ২০১২ সালের ১৭ মার্চ ছাতক উপজেলার মাহনপুর গ্রামের তের বছরের কিশোরীকে রাতে ইকবাল ও জয়নাল আবেদীন জোরপুর্বক অপহরণ করে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি ইকবাল হোসেন মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার চাচা চমক আলী বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি ইকবাল হোসেনকে যাবজ্জীবন ও জযনাল আবেদীনকে ১৪ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।