আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ ঠেকাতে রাস্তার পাশে থাকা মাছ-মাংস এবং আমিষ খাবারের দোকান বন্ধ হচ্ছে ভারতের আমেদাবাদের পুরনিগমে।
আমেদাবাদ পৌরসভার রাজস্ব কমিটি এক চিঠিতে বলেছে, গুজরাটের পরিচয় এবং কর্ণাবতী (আহমেদাবাদ) শহরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে শহরের রাস্তা এবং ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাছ-মাংসসহ আমিষ খাবারের দোকান বন্ধ করতে হবে। আমিষ খাবারের দোকান বৃদ্ধির ফলে নাগরিকদের রাস্তায় চলাফেরায় অসুবিধা হয় ও বাসিন্দাদের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত লাগে।
এদিকে, এ নিয়ে গুজরাটের খেদা জেলার বিজেপির প্রাক্তন আইটি সেলের সভাপতি নন্দীতা ঠাকুর টুইটে লিখেছেন, আমরা বাস্তবতা এড়াতে পারি না। আমাদেরই বহু নাগরিক মাছ বিক্রি করে জীবনধারণ করেন। তাই যারা আমিষ খাবার বিক্রি করেন রাস্তার ধারের দোকানে তাঁদের যেন সরিয়ে দেওয়া না হয়। সরালে বিকল্প জীবিকার সন্ধান করে দেওয়াও প্রশাসনের কাজ হবে।
এর আগেই ভাদোদরা, রাজকোট ও ভাবনগরে রাস্তার ধারে আমিষ খাবারের দোকান বন্ধের নির্দেশ জারি করেছে পৌরকর্তৃপক্ষ।
ভাদোদরার বিজেপি জনপ্রতিনিধি বলেন, আমি নিজে নিরামিষাশী, কিন্তু যারা আমিষ খান বা বিক্রি করেন তাদের বিরুদ্ধে নই। মাছ, মাংস যারা বিক্রি করছেন তারা সেটা করেই জীবনধারণ করেন। পৌর কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা বলছে, যা সবাই মেনে নেবে। কিন্তু জোর করে শুধু আমিষ খাবারের ক্ষেত্রেই যদি স্বাস্থ্যকর বিষয়টি প্রাধান্য পায় তবে তা হতাশার হবে।
ভাদোদরার মেয়র কেউর রোকাদিয়া বলেছেন, আমরা রাস্তা থেকে কোনও স্টল সরাতে পারি না বা নির্বিচারে কোনও বিশেষ ধরনের খাবার বিক্রি থেকে কাউকে বিরত রাখতে পারি না। তবে খাবার ঢেকে রাখলে অবশ্যই কোনো ক্ষতি নেই, বিশেষ করে আমিষ-ভোজীদের কাছে।
ভাদোদরা পৌরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, রাজ্য সভাপতির নির্দেশ পেয়েছি। আমিষ খাবার ঢেকে রাখলেও সমস্যা কিছুটা মিটতে পারে। তবে, যেসব হকারের কাছে লাইসেন্স নেই তাদের দোকান তুলে দেওয়া হবে, বিশেষ করে আমিষ দোকানগুলো।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস