স্বাস্থ্য ডেস্ক : একদিকে করোনা অন্যদিকে ডেঙ্গুর প্রভাব। এমন অবস্থায় সুস্থ থাকাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। ডেঙ্গু হলে শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। কারণ ডেঙ্গুতে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি শরীরের প্লাটিলেট কমে যেত শুরু করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। জ্বর হলে অনেকেই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। ফলে রোগীর শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই বাড়িতে কারও ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই কয়েকটি খাবার খাওয়ানো বিশেষ জরুরি।
জেনে নিন কোন খাবারগুলো খাওয়াবেন ডেঙ্গু রোগীকে-
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে পানি ও তরল–জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে দিতে হবে। দৈনিক অন্তত তিন লিটার পানি পান করতে হবে। এক্ষেত্রে ডাবের পানি খুবই উপকারী।
প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে হবে। কারণ দ্রুত আরোগ্য লাভে প্রোটিনযুক্ত খাবারের বিকল্প নেই।
স্যুপ ডেঙ্গু রোগীর জন্য খুবই উপযোগী। সবজি ও মুরগির মাংস দিয়ে স্যুপ করে দিতে পারেন রোগীকে।
শিং মাছ, মাগুর মাছ, পাবদা মাছ ও বোয়াল মাছের ঝোল করে খাওয়া ভালো।
কয়েক প্রকারের ডাল পাতলা করে রান্না করে দিতে পারেন। এতে প্রোটিনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদাও পূরণ হয়।
জাউভাত, ক্ষীর, পাতলা খিচুড়ি ও দই রোগীর জন্য উপকারী।
ডালিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। এ সময় ডালিম খেলে বাড়বে প্লাটিনেটের সংখ্যা।
কমলা বা মালটার রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ দুটি উপাদান ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণে উপকার করে।
রান্নাঘরের একটি উপাদান হলো হলুদ। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
মেথি সবার ঘরেই নিশ্চয়ই আছে! ডেঙ্গু হলে অতিরিক্ত মাত্রার জ্বর কমাতে সাহায্য করে এই উপাদানটি।
ব্রোকোলি হলো ভিটামিন কে’র একটি ভালো উৎস। অন্যদিকে ভিটামিন কে রক্তের প্লেটলেট বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
পালং শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ এবং ওমেগো-থ্রি ফ্যাটি এসিড। পালং শাক গ্রহণে ডেঙ্গু রোগীর প্লেটলেট দ্রুত বাড়বে।
চিকিৎসাবিদরা বলেন, ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করতে হবে। সেইসঙ্গে মসলাযুক্ত খাবারের পাশাপাশি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। এসব খাবার শরীরের কোনো উপকারেই আসে না বরং ক্লান্তি ও অসুস্থতা বাড়িয়ে দেয়।