শিরোনাম :
সূচকের সাথে বেড়েছে লেনদেনও দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই প্রার্থিতা ফিরে পেলেন যারা মহাখালীর বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ তপশিল স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪ গাজার বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি অসম্ভব : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিশ্বব্যাপী আজ ধর্মঘটের ডাক পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা কমে ১৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ কর্ণফুলীতে সারবোঝাই জাহাজডুবি নিপাহ ভাইরাস নিয়ে ভয়ংকর তথ্য, খেঁজুরের রস খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ভারত থেকে আসছে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ গাজায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত পিরোজপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার সাতসকালেই ‘বিপজ্জনক’ ঢাকার বাতাস

ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব: আগামী বছর মহাবিপদের শঙ্কা

  • বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২

ঢাকা : ১৯৬৪ সালে দেশে প্রথম এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর দেখা মেলে। তখন এই জ্বরের নাম ছিলো ঢাকা ফিভার। মাঝের প্রায় ৪ দশক খুব একটা দুশ্চিন্তার কারণ ছিলো না মশাবাহিত এই রোগটি।

২০০০ সাল থেকে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ডেঙ্গু রোগীর দেখা মেলে দেশে। যার বেশিভাগই ঢাকা শহরে। গত কয়েক বছর ধরে বাস্তবে ফল না মিললেও ঘটা করে দুই সিটি কর্তৃপক্ষই কার্যক্রম চালাচ্ছে এডিস নিধনের।

কাগজে কলমের হিসাব বলছে, প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় ২ হাজারের বেশি মশক নিধন কর্মী নামেন রাস্তায়। হাসপাতালে ভর্তি রোগী-স্বজনরাও অস্বীকার করছেন না ঢাকায় তাদের এলাকায় ওষুধ দেয়ার বিষয়টি। তারা জানান, স্প্রে তো করে, কিন্তু সেটার ভিতরে মেডিসিন কতটা কার্যকর তাতো আমরা জানি না, সেটা কর্তৃপক্ষ জানে।

এডিস মশার যে জীবন চক্র সে হিসেবে অক্টোবর মাস থেকেই ডেঙ্গু রোগী কমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতালের ডেঙ্গু বিভাগে তিল ধারণের জায়গা নেই।

কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, মশার যে জীবনচক্র তা পালটে গেছে। এখন সারা বছরময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকবে বাংলাদেশে।

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, আমরা গবেষক হিসেবে সবাইকে সতর্ক করে বলতে চাই, এখন সারাবছর ব্যাপী এডিস মশা নিধন কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। অন্যথায় মৌসুমে ডেঙ্গুর অবস্থা খারাপ হবে।

মশক নিধনের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দুই সিটির দায়িত্বশীলরা এই পরিস্থিতিতে জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, বৃষ্টি যখন দীর্ঘায়িত হয় তখন এডিস মশার প্রজননের জন্যে উৎকৃষ্ট পরিবেশ তৈরি করে। কার্যকরভাবে যদি মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই, তবে শুধু সিটি কর্পোরেশন কিছুই করতে পারবে না।

গবেষকদের মতে, মশার জীবন চক্র যেহেতু বদলে গেছে তাই এখন মশক নিধন কার্যক্রমের প্রক্রিয়া ঢেলে সাজাতে হবে। শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে যদি এডিস মশা নিধনে জোর তৎপরতা চালানো না হয় তাহলে সামনে আরও বিপদ।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved