ঢাকা: জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। ফাইল ছবি।
করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করানো মো. জাকারিয়া ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার। এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। আগামী ১০ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষীর তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তারা হলেন জেকেজিতে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করানো মো. জাকারিয়া ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান সাক্ষীদের আদালতে সহায়তা দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ ও কনক কান্তি ভৌমিক তাদের জেরা করেন।
এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। আগামী ১০ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষীর তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার বেলা আড়াইটার পর আদালতে সাক্ষ্য শুরু হয়। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ ও জেরা চলে।
এর আগে কাশিমপুর কারাগার থেকে ডাক্তার সাবরিনাসহ তিন নারী আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করলেও তা পরীক্ষা না করে ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এ অভিযোগ পেয়ে গত বছর ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়া হয়।
রাজধানীর তেজগাঁও থানার মামলায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী গত বছর ৫ আগস্ট চার্জশিট দেন। ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। চার্জশিটের অন্য আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। তারা সবাই কারাগারে আছেন।