ঢাকা : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টিকা প্রয়োগ নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ কর্মসূচিতে গতি বাড়াতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে টিকা। দেশের প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে ৭০ লাখ মানুষকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে দিনে ৫০০ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হবে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) থেকে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত সপ্তাহের যে কোনো একদিন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় এ টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, সারাদেশে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় নিয়মিত টিকা কর্মসূচি নেই সেখানে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। সপ্তাহের যে কোনো একদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুবিধাজনক সময়ে এ কর্মসূচি পরিচালনা করবেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা প্রয়োগের আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম পৌঁছাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই বিভাগ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধানে এই টিকা দেওয়া হবে। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় সবাইকে নিবন্ধন করে টিকা নিতে হবে। প্রতিটি ক্লিনিকে নির্ধারিত একটি বুথে টিকা প্রয়োগের এক মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য ডা. এ এস আলমগীর বলেন, ‘সারাদেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা আছে সরকারের। আর তাই এই কর্মসূচিতে গতি বাড়াতে এবার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় টিকা প্রয়োগ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। এই ক্লিনিকগুলো পরিচালনা করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। তাদের ইতোমধ্যেই টিকা প্রয়োগে প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে সহায়তা করার জন্য থাকবেন স্বাস্থ্য অধিদফতর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের দুজন মাঠকর্মী।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে। ৬ থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ আগামীকাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে কোনো এক দিন এই কর্মসূচি একেকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে পরিচালনা করা হবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী যারা ইতোমধ্যেই নিবন্ধন করেছেন তাদের টিকা দেওয়া হবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাবে ও এলাকার মানুষকে টিকা গ্রহলের জন্য জানাবে।’
উল্লেখ্য, দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।