শিরোনাম :
পিয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত ভারত, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি : তথ্যমন্ত্রী বর্তমান সরকার পাঠাগারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে : মির্জা ফখরুল গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললে প্রধানমন্ত্রীর গা জ্বলে ওঠে : সালাম পঞ্চগড়ে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা : এখনও চার বাংলাদেশি নিখোঁজ রপ্তানি আয়ে এলো সুখবর, মে মাসে বাড়ল ২৭ শতাংশ মার্কিন ভিসা নীতি দুরভিসন্ধিমূলক : ১৪ দলীয় জোট চীনে ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৪ দেশে একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা স্যাংশন নয় প্রধানমন্ত্রীর মাথা ব্যথা নিরপেক্ষ নির্বাচন: রিজভী গণতন্ত্রের শত্রু হাসিনা, হাসিনার শত্রু গণতন্ত্র: গয়েশ্বর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে আরও দুই সপ্তাহ লোডশেডিং হতে পারে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

  • শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় রিনা বেগম (২৬) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস মেডিকেল সেন্টারে তার মৃত্যু হয়।

রিনা বেগম টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা গ্রামের ইসরাইল মিয়ার স্ত্রী।

নিহতের স্বামী জানান, তার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা শুরু হলে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইল শহরের নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস সেন্টারে তাকে ভর্তি করা হয়।

সেখানে গাইনি ডাক্তার ডা. সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে অস্ত্রপাচারের (সিজার) মাধ্যমে রিনা বেগম কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরে তাকে কেবিনে নেওয়ার পর রাতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে।

বিষয়টি ক্লিনিকের নার্সকে জানালে তিনি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারকে অবগত করেন। তাদের একাধিকবার ফোন করার পরও তারা আসেননি। পরে সকালে রিনার অবস্থার অবনতি হলে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সেখানে নেওয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়।

ইসরাইল মিয়া আরও জানান, ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার মেয়ে এতিম হয়েছে। আমার মেয়েকে যে এতিম করলো আমি ওই ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকের শাস্তি দাবি করছি। এ ঘটনার পর ক্লিনিকের ম্যানেজার ও মালিক পালিয়েছে।

রিনা বেগমের মা চায়না বেগম বলেন, সিজার ভালভাবে করা হয়নি। সিজার করার পর পরই পেট ফুলতে থাকে। পেটের দুই পাশ দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমার মেয়ে বারবার ডাক্তারের কথা বলেছে। কিন্তু ডাক্তার আসেনি।

ডাক্তারের অবহেলায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমাকে যারা সন্তানহারা করলো আমি তাদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।

ক্লিনিকের নার্স অনামিকা সরকার জানান, আমি সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছি। রাতে ও গতকাল কী হয়েছে আমি তা জানি না।

নূরুল আমিন খান মাল্টিপারপাস মেডিকেল সেন্টারের মালিক মো. সরোয়ার হোসেন খান জানান, আমি খুবই ব্যস্ত আছি। আপনার সঙ্গে পরে কথা হবে।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved