ঢাকা : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চালের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু চাহিদা বাড়ার অনুপাতে চালের উৎপাদনের গতি কিছুটা পিছিয়ে আছে। আমরা যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেটাকে ধরে রাখতে হবে। প্রতিবছর যাতে চাল আমদানি করতে না হয়। সেজন্য চালের চাহিদার গতির সঙ্গে তাল রেখে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
আজ রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভা সঞ্চালনা করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে চালসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বৃহৎ ও সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হলো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকা। লবণাক্তসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি আমাদের রয়েছে, সেখানে এসব জাত ও প্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে প্রকল্প এলাকার মানুষের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কী প্রভাব পড়েছে ও সার্বিক উৎপাদন কতটা বেড়েছে, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বসে থাকলে হবে না। জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অনুপাতে মাঠে কৃষকের কাছে কতগুলো পৌঁছেছে, তা-ও বিবেচনায় নিতে হবে।
সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ৪ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে, যার পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা।