ঢাকা : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর অফিস করছেন। বুধবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এর আগে, সর্বশেষ তিনি ১৬ মার্চ দলীয় কার্যালয়ে আসেন ।
গত ১৬ মার্চ তার করোনা পজিটিব রিপোর্ট আসলে দীর্ঘদিন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তার অক্সিজেন সেচুরেশন কমে যাওয়ায় এবং ফুসফুস মারাত্বকভাবে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে দীর্ঘ সময় আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এরপর করোনা মুক্ত হয়ে প্রায় দুই মাস পর হাসপাতাল থেকে গত ৯ মে বাসায় ফিরেন বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিত আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ জন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
রিজভীর সাথে এসময় দলের যুগ্ম-মহাসচিব হাবিবউন নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, রিজভীর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুর রহমান তুষার সহ-অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসার পরদিন স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন রুহুল কবির রিজভী। ১ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বুকের সিটি স্ক্যানে নানা জটিলতা ধরা পড়লে আইসিইউতে রেখে তার চিকিৎসা করা হয় কিছুদিন।
হাসপাতাল থেকে ছাড় পেলেও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় চিকিৎসকদের কঠোর নির্দেশনা মেনে চলেন তিনি। বাসায় বসেই তিনি চিকিৎসা নেন। তিনি কিছুটা সুস্থ হলে দলীয় বিভিন্ন কর্মসুচিতে অংশ নিলেও তিন তলায় উঠতে কষ্ট হওয়ায় এতদিন তিনি দলীয় কার্যালয়ে আসেননি।