শিরোনাম :
সরকারের পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে: ফখরুল ‘আ.লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না’ ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি আহত দেশে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৪১ ডেঙ্গুরোগী কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় মা-মেয়ে নিহত গুম-নিপীড়ণে জড়িতদের তালিকা তৈরিতে কমিটি করেছে বিএনপি টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার আগামীকাল দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত থাকার জন্য পাশ্চিমাদের দায়ী করল চীন ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ ঘুরে দাঁড়াবার বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী: কাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না: মির্জা ফখরুল ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৮৮ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২০.৪১% রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতার ৩২

কত বছর ব্যবধানে দ্বিতীয় সন্তান নেবেন?

  • বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পরিবার-পরিকল্পনা নিয়ে বেশিরভাগ নবদম্পতি দ্বিধায় থাকেন। আমাদের দেশের বর্তমান স্লোগান— দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়। এটি হয়তো আমাদের জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে নিয়ম করা। সন্তান বেশি হলে, তাদের সমতার সঙ্গে বড় করতে না পারাও একটি কারণ।

আমাদের সমাজে একটি শিশু হলে পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, তার আরেকজন সঙ্গী দরকার। তখন মা-বাবাও আরেকটি সন্তান নিতে আগ্রহী হন।এখন প্রশ্ন হলো— প্রথম সন্তানের পর কত বছর দেরি করব আরেকটির জন্য?

এ বিষয় নিয়ে কাজ করা বেশিরভাগ সংগঠন প্রায় একই কথা বলেছে। তারা কয়েকটি সময়ের পরামর্শ দিয়েছে। আর এই সময়ের ব্যবধান প্রায় সবই কাছাকাছি। কোথাও বলা হয়েছে— প্রথম সন্তান নেওয়ার দুই থেকে তিন বছর পর দ্বিতীয় সন্তান ভালো। কোথাও এ ব্যবধান তিন থেকে পাঁচ বছর। আবার কেউ কেউ বলছেন, আদর্শ সময় হলো পাঁচ বছর।

এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়— কেন এত দেরি করতে হবে? কারণ একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে পেটের সন্তানের সম্পূর্ণ পুষ্টির জোগান আসে মায়ের কাছ থেকে। মিনারেলস থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব কিছু মা থেকে নেয়। সবশেষে প্রসবের ধকলও মায়ের ওপরই যায়।

আবার সন্তানের জন্মের পরই কিন্তু মায়ের কাজ শেষ হয়ে যায় না। দুই বছর পর্যন্ত স্তন্যপান করান। এ ক্ষেত্রে মায়ের শরীরে অনেক ঘাটতি দেখা দেয়। শিশু স্তন্যপান ছেড়ে দিলেও মায়ের এতদিনের শরীরের ঘাটতি পূরণে বেশ সময় প্রয়োজন হয়।

আমরা মনে করি, প্রথম সন্তানের পর মাকে এক থেকে দুই বছর সময় দিতে হবে। তার পর আরেকটি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করলে তা মায়ের জন্য ভালো হবে। পাশপাশি যে সন্তান পৃথিবীতে আসবে তার জন্যও ভালো হবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে— দুই সন্তানের মধ্যকার ব্যবধান কম হলে মা ও শিশুর কী কী অসুবিধা হতে পারে? মায়ের রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তশূন্যতা থেকে অনেক রোগের উৎপত্তি হয়। মা দুর্বল থাকেন। ফলে আগে ও পরে মিলে দুটি শিশুর ঠিকমতো যত্ন করতে পারবেন না। ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেটের সন্তান সেভাবে বাড়বে না। অ্যানিমিয়া থেকে সিরিয়াস অ্যানিমিয়া হতে পারে।

ভয়ঙ্কর বিষয় হলো— অ্যানিমিয়া থেকে হার্ট ফেইলর পর্যন্ত হতে পারে। রক্তশূন্যতায় মায়ের ডেলিভারির পরে জরায়ুতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রচুর রক্তপাত হতে পারে। রক্তপাতের কারণে আরও রক্তশূন্যতা তৈরি হতে পারে। আরও অনেক জটিলতা হতে পারে। তার পর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে।

পেটের শিশুর নানা জটিলতা দেখা দেয়। মায়ের রক্তশূন্যতার কারণে সন্তানও সুস্থ হয় না। মায়ের পানি ভাঙতে পারে। শিশুর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা লোপ পেতে পারে। বারবার ইনফেকশন হবে। জন্ডিস হবে। গ্রোথ ঠিকমতো হবে না। হাসপাতালে যাওয়া লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শিশু বুকের দুধ পায় না। শিশুদের বুদ্ধিমত্তা লোপ পায়। আমরা তো জনসংখ্যাকে জনশক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চাই, সেটি করা সম্ভব হবে না। সূত্র: ডক্টর টিভি

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved