কক্সবাজার : আকস্মিক পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া অন্তত ৩০ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছুটে যান ভ্রমণপিপাসুরা। কোনও ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া পরিবহণ ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক। নির্ধারিত সময়ে ফিরতে না পারায় পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। কেউ বিমানে, আবার কেউ দ্বিগুণ ভাড়ায় গাড়ি ভাড়া করে ছুটছেন গন্তব্যে। কিন্তু যাদের এমন সামর্থ্য নেই তারাই পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে।
এক পর্যটক জানান, তাদের যে বাজেট ছিল সেটাও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। শুক্রবারের টিকিট নেয়া ছিল কিন্তু এখন তারা ফিরেও যেতে পারছে না আবার হোটেলের রুম ছেড়ে দেওয়ার কারণে হোটেলেও থাকতে পারছে না। আটক পড়া পর্যটকদের মধ্যে তারাই বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে, যানবাহন চলাচল বন্ধের কারণে পর্যটকদের ভোগান্তির পাশাপাশি পর্যটনের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে যানবাহন চলাচল বন্ধের কারণে কক্সবাজারের পর্যটকরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন এখানে। এই অচলাবস্থা যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে মানুষের দুভোর্গ আরও বাড়বে। করোনার পর কিছুটা মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ পেলেও পর্যটন ব্যবসায়ীরা আবারও মুখ থুবড়ে পড়ছে।
জেলা পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তি ও হয়রানির ব্যাপারে পর্যটকদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাননি। যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে তারা তাদের সাধ্যমতো সহায়তা করার চেষ্টা করবেন বলে জানালেন তিনি।
এদিকে ভোগান্তি রোধে আটকা পড়া পর্যটকদের বিনা ভাড়ায় চট্টগ্রাম পর্যন্ত পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ লাইন থেকে বিশেষ পরিবহণ যোগে আটকা পড়া পর্যটকদের চট্টগ্রাম পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল বুধবার রাতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা করা হয়। এরপর, শুক্রবার সকাল থেকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরিচালক-মালিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাসচালক-মালিকরা।