ঢাকা : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে কোনও বিনিয়োগ করবে না যমুনা গ্রুপ। বাজারে ইভ্যালির রেপুটেশন ভালো না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে যমুনা গ্রুপ। বিষয়টি নিশ্চিত করে যমুনা গ্রুপের পরিচালক মনিকা ইসলাম বলেন, যমুনা গ্রুপ নিজেরাই ই-কমার্স কোম্পানি করবে।
জানা যায়, একটি পক্ষ যমুনা গ্রুপকে ভুল বুঝিয়ে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। যমুনা গ্রুপ জানতে পেরেছে ইভ্যালির ভেতরে সমস্যা বেশি। ভালো কোনও অডিট ফার্ম প্রতিষ্ঠানটির অডিট করতে চায় না। ইভ্যালির নেটওয়ার্ক ছাড়া কিছুই নেই।
এমন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে যমুনা গ্রুপের রেপুটেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যমুনা গ্রুপ। অবশ্য এখন পর্যন্ত যমুনা গ্রুপ একটি টাকাও বিনিয়োগ করেনি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো যমুনা গ্রুপও ইভ্যালির কাছ থেকে টাকা পাবে। সমস্যা কবলিত ইভ্যালির ৫১ শতাংশ শেয়ার কেনার কথা ছিল যমুনা গ্রুপের। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করারও পরিকল্পনা ছিল। এরপর ধাপে ধাপে মোট এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু যমুনা গ্রুপ কর্তৃপক্ষ এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যমুনা গ্রুপের নিজস্ব ই-কমার্স কোম্পানি উদ্বোধনের দিন ইভ্যালির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানানো হবে।
এর আগে, ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, কেবল গ্রাহকরাই তাদের কাছে পাওনা রয়েছে ৩১১ কোটি টাকা। আর মোট গ্রাহকের সংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ৭৪১। এ হিসাব গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত। ৩ দফায় তথ্য দেওয়ার দ্বিতীয় দফায় গ্রাহকদের কাছে দেনার পরিমাণ ও গ্রাহকসংখ্যা জানানোর তাদের শেষ সময় ছিল আজ।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ আজ রাতে মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ইভ্যালিকে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব ৩ দফায় দিতে বলা হয়েছিল। আজ একটি জবাব এসেছে।
প্রথম দফায় সম্পদ ও দায়ের পরিমাণের তথ্য ইভ্যালি ১৯ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল। আর তৃতীয় দফায় কোম্পানিটিকে ‘মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের দায় পরিশোধের সময়বদ্ধ পরিকল্পনা’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে জানাতে হবে আগামী ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।