ঢাকা: রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন তার ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কোনো সুযোগ দেয়নি মুহিবুল্লাহকে। বন্দুকধারীদের এ দলে মাস্টার আব্দুর রহিম, মুর্শিদ, লালুসহ ২০ থেকে ২৫ জন ছিল। তাদের তিনি আল ইয়াকিনের সদস্য বলে দাবি করেন।’
মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আমার ভাই এগিয়ে আসতেন। তাদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে সে। শুধু এখানে নয় আন্তর্জাতিক মহলেও আমার ভাইয়ের পরিচিত রয়েছে।
হয়তো সেই যাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে এ হামলা এবং তাকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘাতকদের শাস্তির দাবি জানাই।’
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে মুহিবুল্লাহর মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পর সঙ্গে থাকা মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) এশার নামাজ শেষে নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন। এসময় অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা ৫ রাউন্ড গুলি করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে। ৩ রাউন্ড গুলি বুকে লাগলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: এক নজরে রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ
উল্লেখ্য, মুহিবুল্লার মূল উত্থান হয় ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা আগমনের বর্ষপূর্তিতে। ওইদিন তিনি লাখো রোহিঙ্গার সমাবেশ ঘটিয়ে আলোচনার তুঙ্গে এনেছিলেন নিজেকে।
সেদিন তার নেতৃত্বে ছিল ৩ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গার মহাসমাবেশ। ২৫ আগস্টের এই মহাসমাবেশ তাক লাগিয়ে দেয় বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের।
এরপর তিনি উখিয়া-টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে ছিলেন। রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে দক্ষ মুহিবুল্লাহ ধীরে ধীরে প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন।