ঢাকা : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আওয়ামী লীগ আল্টিমেটামের রাজনীতি করে না। গণতন্ত্রে আল্টিমেটামের কোনো জায়গা নেই। বাংলাদেশ পাকিস্তানিদের আল্টিমেটাম দিয়েছিল। পাকিস্তান মানেনি, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। সেই সময় আর এই সময় এক নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ; জনগণ, পতাকা, সংবিধান ও নির্বাচন কমিশন আছে। এগুলো হলো সীমারেখা। কীভাবে আল্টিমেটাম হঠকারিতা মোকাবিলা করতে হয় তা সংবিধানে আছে। সেটি আমরা ব্যবহার করব।
তিনি বলেন, বিএনপির অভিযোগের শেষ নেই। দেশের মানুষ সবকিছু দেখে তারাই সবকিছুর বিচার করবে। জনগণের বিচারকে মেনে নেব। ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ আন্দোলনের ভয় করে না।
আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জে জেলা শিল্পকলা একাডেমির চত্বরে জাতীয় সমবায় দিবসের পতাকা উত্তোলন শেষে তিনি এ কথা বলেন। পরে সমবায় দিবসের র্যালি ও আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য আলোচনা চলছে। জান্তা সরকারের সঙ্গে আলোচনা একটু এগিয়ে যায় আবার পিছিয়ে যায়। তবে পরিকল্পনা করে তাদের ফেরত পাঠানো যাবে না। আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সহিষ্ণু সরকার। আমরা প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালোভাবে থাকতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ যখন খেতে পারছে রোহিঙ্গারাও পারবে। আমরা চাই বিশ্বের যেসব রাষ্ট্র আছে তারা দেখুক রোহিঙ্গারা কী অবস্থায় আছে। আমরা বিশ্বাস করি, কোনো এক সময় মিয়ানমারের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষ তাদের দেশে ফেরত যেতে পারবে।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মানুষ বিনা পয়সায় সবকিছু পেতে চায়। সেটা আমিও চাই, কিন্তু সম্ভব হবে না। প্রত্যেক জিনিসের যথাযথ মূল্য দিতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম সরকারের কারণে বাড়েনি। বিদেশিদের হাতে সব কল-কবজা ডলার গ্যাস তেল আমাদের এখানে কিছু নেই। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। গতবার মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসছিল। দেশবাসীর জন্য ভালো খবর আছে। আগামী মঙ্গলবার একনেকের সভা আছে, সেখানে আমি সরকারিভাবে সবকিছু বলব। সেখানে সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির মাপজোক তুলে ধরা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈদ প্রমুখ।