আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানে পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর পর হিজাব এবং দেশটির ‘নৈতিকতাবিষয়ক’ পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পোস্ট করা ভিডিওতে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, গুলির শব্দ ও মেয়েদের হিজাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেশটির ১৫টি শহরে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
আস্তে আস্তে তীব্র হওয়া এ বিক্ষোভে সামনের কাতারে রয়েছেন ইরানের নারীরা। এর আগে গত মঙ্গলবার দেশটির সারি শহরে নারীরা আগুন দিয়ে তাদের হিজাব জ্বালিয়ে দেন।
কুর্দি নারী মাহসা আমিনিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর তেহরানের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার দুই ঘণ্টা পর অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তিন দিন কোমায় থাকার পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান ২২ বছর বয়সী আমিনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন তিনি।
ইরানের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তেহরানে ঘুরতে আসা মাহসাকে একটি মেট্রোস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সঠিকভাবে হিজাব পরেননি। এমনকি তার শরীরের অন্যান্য অংশেও ভালোভাবে ঢাকেননি।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ জানান, পুলিশ আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তার মাথা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ফেটে যায়।
নারীর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলমান বিক্ষোভে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও যোগ দিয়েছেন।