শিরোনাম :
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ৮.৮৯ শতাংশ গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো: ফখরুল একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন একদিন পর বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ ত্রিশালে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত গাজার বর্বরতাকে ইসরায়েলি ‘গণহত্যা’ বলায় জাতিসংঘের দূতকে হুমকি শহরের চেয়ে গ্রামে বিয়ে-তালাক বেশি যুক্তরাজ্যে ৮০ লাখ মানুষের চাকরি হারানোর শঙ্কা টেকনাফ থেকে আবারও ৮ জনকে অপহরণ যুক্তরাষ্ট্রে সেতু দুর্ঘটনা : দুই মরদেহ উদ্ধার অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে ঢাকা আজ তৃতীয় অ্যানেস্থেসিয়ার ওষুধ বদলানোর নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিজের ডেকে আনা পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি তরুণের গাজায় নিহত বেড়ে ৩২ হাজার ৪৯০ বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: ম্যাথিউ মিলার

সাংবাদিকের ডাটাবেজ সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ

  • সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২

আহমেদ আবু জাফর
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের ডাটাবেজ (তালিকা প্রণয়ন) তৈরির কাজ সরকার হাতে নিয়েছে। যা নিঃসন্দেহে সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং সাংবাদিকদের জন্য গর্বের। এটি গত বছর দশেক ধরে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের একটি মাইলফলক।

সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের তালিকা সরকারের কাছে থাকলেও একমাত্র সাংবাদিকদের কোন তালিকা নেই, যা দুঃখজনক। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, ‘দেশে গরু ছাগলের তালিকা সরকারের কাছে থাকলেও সাংবাদিকদের তালিকা নেই।’ কথাটি শুনতে কেমন শোনালেও গভীরতা কিন্তু অনেক। ডিজিটাল প্রযুক্তির দেশে গাড়ির কাগজপত্র থেকে সবকিছুই আপডেট ভার্সনে রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকরা সেকেলে রয়ে গেছে। তবে কোন অসাংবাদিক যেন এই তালিকায় জায়গা না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

স্পস্ট যে পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের ব্যাপারে দেশের একটিমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ২০১৩ সালে এই দাবি তুলেছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবিটি জোড়ালো করে তোলা হয়। সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচার মন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপিসহ নানাভাবে দাবিটি তুলে ধরা হয়।

যার ফলে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের প্রচেষ্ঠায় ডাটাবেজ/তালিকা প্রণয়নের জন্য ইতিমধ্যে জেলা তথ্য অফিসারদের নিকট চিঠিসহ ছক পাঠানো হয়। চিঠিতে পুরো কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে জেলা পর্যায়ে একমাস সময় বেধে দেয়া হয়েছে।

তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার শাহেনুর মিয়া গত ৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ৬৪জেলার তথ্য অফিসারদের নিকট এ চিঠি পাঠিয়েছেন। রাজবাড়ীসহ কয়েকটি জেলায় এ চিঠি এখনও পৌঁছেনি বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় প্রণীত গণমাধ্যমকর্মীদের সংযুক্ত ছক অনুযায়ী তথ্যাদি পূরন করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটি সাংবাদিকদের গত ১০ বছরের আন্দোলনের ফসল। তালিকাটি প্রণয়নের মধ্য দিয়ে পেশাটির মাঝে ভুয়া, হলুদ ও অপ-সাংবাদিক নামের কালিমা চিরতরে মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তালিকাটি প্রণয়নের জন্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা উচিৎ। নয়তো, সাংবাদিকদের স্বার্থে গড়ে ওঠা প্রকল্পটি নসাৎ হতে পারে। তাই সকল জেলা/উপজেলায় কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের কাজে একটি পক্ষ বিরোধী ভৃমিকায়ও রয়েছে। তাই সাংবাদিকদের উচিৎ সকল ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে দ্রুত তালিকা প্রণয়নের কাজটি সম্পন্ন করতে সরকারকে সহায়তা করা। কেননা; ২০১৮ সালেও অনুরুপ তালিকা প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছিল বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ৫ বছরেও সেই তালিকা প্রণয়নের কাজ আলোর মুখ দেখেনি।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ, কেন্দ্রীয় কমিটি।

সংবাটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খরব
© Copyright © 2017 - 2021 Times of Bangla, All Rights Reserved