ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে সাংগঠনিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তাকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হারাতে হচ্ছে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদও। পাশাপাশি মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে দলীয় পদ স্থগিত রাখাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জাহাঙ্গীর। ঘরোয়া আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির ভিডিও ফেসবুকে ফাঁসের পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে দুই মাস ধরে সেখানে বিক্ষোভ করছে ক্ষমতাসীন দলের একটি অংশ।
দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছেন। তার এমন বক্তব্য দলীয় ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পরিপন্থি। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলমের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও মেয়র পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান গাজীপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। টানা টানা কয়েকদিন থেমে থেমে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনও করেন।
এদিকে ঘটনাটি কেন্দ্র পর্যন্ত গড়ালে সেখানেও নড়েচড়ে বসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। গত ৩ অক্টোবর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত আপনার বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে, যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সামিল। এটি সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।