ঢাকা : গণপরিবহনে বেআইনি, অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি, ভাড়া বৃদ্ধির নামে সাধারণ নাগরিকদের হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু তালেব ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ),র চেয়ারম্যান ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, গণপরিবহনে যাত্রীদের হয়রানি বন্ধে ঢাকাসহ সারাদেশে যেসব পরিবহন পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসে চলে তা নির্ধারণ করে প্রতিটি গণপরিবহনে বিআরটিএ’র লোগোসহ পরিবহনের সামনে ও পিছনে নেমপ্লেট আকারে সাটাতে হবে। যাতে যাত্রীরা বুঝতে পারেন যে কোন পরিবহনটি গ্যাসে চালিত আর কোনটি পেট্রোল কিংবা ডিজেল চালিত। এতে তাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কমে যাবে।
রাজধানীসহ দেশের সকল রুটের স্টপেজ টু স্টপেজের কোথায় ভাড়া কত তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সকল পরিবহনের মালিক শ্রমিকদের ভাড়া চার্ট টানানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। আর আপনাদেরকে সুনির্দিষ্ট স্টপেজে সাইনবোর্ড কিংবা ইলেকট্রনিকস বিলবোর্ডে সেগুলো লিখে ডিসপ্লে করতে যাতে যাত্রীরা ভাড়া সম্পর্কে সাথে সাথে অবগত হতে পারেন।
ভাড়া নির্ধারণের আইনগত ভিত্তি কি-এটা কি মালিকদের দাবির মুখে আপনারা অনুমোদন দেন না। কিলোমিটার প্রতি বাস ও লঞ্চের ভাড়া নির্ধারণে সংসদ প্রণীত আইনের অধীনে কখন ও কত বছর পরে ভাড়া বৃদ্বি করা হবে এ মর্মে কোন বিধি রয়েছে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের বাস ও লঞ্চ ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে।
সারাদেশে কতগুলো বাস ও লঞ্চ তথা গণপরিবহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে ও কতগুলোর নেই তা দ্রুত জানাবেন এবং কত সংখ্যক ড্রাইভারের লাইসেন্স আছে তাও জানাতে হবে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ওয়েবিল’মানুষ ঠকানোর একটি হাতিয়ার মাত্র। এটার কথিত প্রয়োগ যথাশীঘ্র বন্ধ ও বাতিল করতে হবে। আনুসঙ্গিক অন্যান্য সকল কাজ যা যাত্রীকল্যাণে করা দরকার তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। উক্ত কাজগুলো করা আপনাদের আইনগত দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং এগুলো না করতে পারার ব্যর্থতার দায় ও দায়িত্বও আপনাদের। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়।