স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো অস্ট্রেলিয়া। বৈশ্বিক আসরে পাঁচটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও দুটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতলেও এতদিন এই ট্রফিটি অধরা ছিল।
অবশেষে প্রতিবেশি দেশ কিউইদের ৮ উইকেট হারিয়ে সেই স্বাদ পেল দলটি। এর আগে ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় সংস্করণে ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল অজিরা।
ট্রফি তোলার পরে সাজঘরে বিশেষ উল্লাস করছেন অজিরা। দেখা গেল নিজেদের জুতোর মধ্যে বিয়ার ঢেলে খাচ্ছেন তারা। একে একে বেশ কয়েক জন ক্রিকেটারকে সেটা করতে দেখা গেল। আইসিসি-র তরফে অস্ট্রেলিয়া দলের উল্লাসের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায় ছবি তোলার পরে হঠাৎ পা থেকে জুতো খুলে তার মধ্যে বিয়ার ঢাললেন ওয়েড। তার পরে জুতো থেকেই সেই বিয়ার খেলেন। একই কাজ করতে দেখা গেল মার্কাস স্টোইনিসকেও। ওয়েডের জুতো থেকেই বিয়ার খেলেন তিনি।
টুর্নামেন্ট জিতলে মাঠের মধ্যে অনেককেই বিয়ার বা শ্যাম্পেন খেতে দেখা যায়। কিন্তু সরাসরি বোতল থেকে বিয়ার খাওয়ার ঘটনা আগে দেখা যায়নি। এ ভাবে জুতোর মধ্যে বিয়ার ঢেলে খেয়ে কেন উল্লাসে মাতলেন অজি ক্রিকেটাররা? অস্ট্রেলিয়াতে এই ধরনের উল্লাস খুব জনপ্রিয়। একে বলা হয় ‘শুয়ি’ (জুতোর ইংরেজি থেকে এই নামকরণ)। তারা মনে করে এই ভাবে উল্লাস করলে তা সব খারাপ সময় দূর করে সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে আনে। কোনও মহিলার জুতো থেকে শ্যাম্পেন খেলে তা আরও সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলেই মনে করা হয় অস্ট্রেলিয়ায়।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কেন উইলিয়ামসনের রেকর্ড ছোঁয়া ইনিংসে নিউজিল্যান্ড তুলে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান। প্রথম ১০ ওভারে তারা তুলেছিল মাত্র ৫৭ রান। পরের ১০ ওভারে ঝড় তুলে ১১৫! জবাব দিতে নেমে ১৮.৫ ওভারে ২ উইকেটে হারিয়ে অধরা ট্রফিটাও ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ১৭৩ রানের জবাব দিতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভাল ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। দলীয় ১৫ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (৫)। কিন্তু এরপরই দুবাইয়ের উইকেটটা চিনে নিয়ে দেখে-শুনে খেলতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪৩ রান। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন সেমি-ফাইনাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৯ করে ফেরা ওয়ার্নার।
অন্যপ্রান্তে তাকে বেশ সঙ্গ দেন মার্শ। তবে হাফসেঞ্চুরি করেই ভুল করে বসেন ওয়ার্নার। ট্রেন্ট বোল্টের পেসের সামনে লাইন মিস করায় উড়ে যায় স্ট্যাম্প! ব্যস, ৩৮ বলে ৫৩ করে ফিরে যান ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া তখন ১২.২ ওভারে ২ উইকেটে ১০৭। মার্শ তখন অন্য প্রান্তে অপ্রতিরোধ্য। ৩১ বলে তুলে নেন ফিফটি। অফ ফর্ম কাটিয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও লড়লেন। দলকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে মার্শ অপরাজিত ৫৫ বলে ৭৭। ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে অপরাজিত ২৮।