ঢাকা : ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা সংক্রান্ত সাক্ষ্য আইনের দুটি ধারা ১৫৫ (৪) ও ১৪৬ (৩) বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট জমা পড়েছে।
আজ রবিবার (১৪ নভেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), নারীপক্ষ ও ব্লাস্ট্রের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন এ রিট দায়ের করেন। তার আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে।
সাক্ষ্য আইনের ধারা ১৫৫ (৪)-এ বলা হয়েছে, কোনও মানুষ যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে সোপর্দ হয় তখন দেখানো যেতে পারে যে, অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রসম্পন্ন রমণী।’
এ ছাড়া সাক্ষ্য আইনের ১৪৬ (৩)-এ বলা হয়েছে, সাক্ষীর চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন করা যেতে পারে যাতে সে এমন তথ্য দেয় যা দোষী বা নির্দোষ সাব্যস্ত করতে সহায়ক হবে।
সাক্ষ্য আইনের এ ধারা বাতিলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায় থেকে দাবি ওঠে। তাদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্য আইনের এ ধারা বাতিলের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে একটি অনুষ্ঠানের আলোচনায় আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, সাধারণত দুশ্চরিত্র হলেই যে ধর্ষণ করা যাবে এ বিষয়টি আমরা অনুমোদন দিতে পারি না। এ কারণে সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা বাতিল হয়ে যাচ্ছে। সাক্ষ্য আইন সংশোধন হচ্ছে। সাক্ষ্য আইনের পরিববর্তন আমরা করছি। ভার্চুয়াল কোর্ট করার জন্য সাক্ষ্য আইনের যে যে জায়গায় পরিবর্তন করা দরকার সেগুলো আমরা পরিবর্তন করবো। প্রস্তাবটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের কথা বলেছিলেন তিনি।