ঢাকা : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজ ড্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ড্যাপে কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা কারও ওপর যদি অবিচার করা হয়েছে বলে মনে হয়, তবে সেসব সংশোধন করা হবে। কোনো পক্ষের ক্ষতি করার জন্য ড্যাপ পাস করা হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ড্যাপ পর্যালোচনা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ায় এখন এটি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে ড্যাপের গেজেট প্রকাশ করা হবে।
রিহ্যাবের আপত্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আমরা সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নেওয়া হয়েছে। তাদের যে চাহিদা বা মতামত যুক্তিসঙ্গত হয়ে থাকে সেটা শতভাগ নেওয়া হয়েছে। যেটা নেওয়া হয় নায় সে বিষয়ে বসে নিজেদের মধ্যে ঐকমত্যে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ৬-৩ তলার ওপর কোনো বিল্ডিং করতে দেওয়া হবে না এটা একেবারেই অমূলক। আমরা ৪০ তলা, ৫০ তলা ১০০ তলা বিল্ডিং যদি কেউ করতে চায় তাদের অভিনন্দন জানাই৷ তবে যেখানেই করা হবে সেখানে যেন সকর ধরনের যোগাযোগ সুবিধা যদি থাকে তাহলে অনুমোদন দেওয়া হবে। যেখানে সব ধরনের সুযোগ নেই সেখানে অনুমোদন দেওয়া নৈতিক হবে না।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি নতুন করে যে সকল আবাসিক এলাকা হবে সেখানে প্রতিটিতে একটি করে প্রথমিক বিদ্যালয় থাকবে। এই ধরনের সুবিধার কথা চিন্তা করছি। রিহ্যাবকে অভিনন্দন জানাই তাদের কাজ কর্মের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বীকৃতি দিয়েছি। কারণ তারা আবাসন খাতে অনেক পরিবর্তন এনেছেন এবং অবদান রাখছে। তবে যেসকল স্থান এখনও অনুন্নত রয়েছে সেখানে বিল্ডিং বানান। রাস্তা এখন নেই ভবিষ্যতে হবে। ড্যাপের প্ল্যানের মধ্যে রাস্তা ঘাট রয়েছে। সে সব এলাকাতে বিল্ডিং বানাতে তিন চার বছর লাগবে আমরা এর মধ্যে রাস্তা করে ফেলব।
সভায় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।